আবার ডিগবাজি খেতে পারেন নীতীশ কুমার। এমন সম্ভাবনা ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। অমিত শাহের সঙ্গে মিটিংও করেছেন বিহারের বিজেপি নেতৃত্ব। তারপর থেকেই জোর জল্পনা ছড়িয়েছে। কিন্তু নীতীশ যদি সত্যিই চলে যান তবে ইন্ডিয়া জোটের কতটা ক্ষতি হতে পারে? কী বলছেন তৃণমূল নেত্রী?
তবে সূত্রের খবর, তৃণমূল নেত্রী ঘনিষ্ঠমহলে এনিয়ে তাঁর মতামত দিয়েছেন। তাঁর মতে, ইন্ডিয়া জোট থেকে নীতীশ কুমার যদি সরে যান তবেও ইন্ডিয়া জোটের কোনও অসুবিধা হবে না।
সূত্রের খবর, ঘনিষ্ঠ মহলে তৃণমূল নেত্রী দাবি করেছেন,জোট ছেড়ে বেরিয়ে গেলেও বিশেষ কোনও ক্ষতি হবে না। তবে তিনি বেরিয়ে গেলে আগামী দিনে আরজেডি ও লালু পুত্র তেজস্বীর কাজ করতে সুবিধা হবে।
এদিকে এর আগে জাতিগত সমীক্ষা করার ইস্য়ু নিয়ে জোটের অন্দরে আলোচনা করার দাবির প্রসঙ্গে নীতীশ কুমারের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কিছুটা মতপার্থক্য তৈরি হয়েছিল। এমনটাই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। তবে বাস্তবে নীতীশ কুমার জোট ছেড়ে বেরিয়ে গেলে কতটা ক্ষতি হবে জোটের তা নিয়ে নানা চর্চা চলছে দেশজুড়ে।
এদিকে ন্যায়যাত্রা বিহারে গেলে নীতীশ কুমারকে সেখানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু সেখানে তিনি আদৌ উপস্থিত থাকবেন কি না তা নিয়ে সন্দেহটা থেকেই গিয়েছে।
এদিকে বিহারে সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে দেখা যায় নীতীশ কুমার ও উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব পাশাপাশি বসে থাকলেও তারা পরস্পরের সঙ্গে বিশেষ কথা বলছিলেন না।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিহারের বিজেপি নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর থেকেই নতুন করে জল্পনা ছড়াতে শুরু করে।
এদিকে প্রাক্তন উপমুখ্য়মন্ত্রী সুশীল কুমার মোদী অমিত শাহের সঙ্গে ওই মিটিংয়ে ছিলেন বলে খবর। শুক্রবার তিনি জানিয়েছেন, রাজনীতিতে নানা সম্ভাবনা থাকে। রাজনীতিতে দরজা কখনও বন্ধ হয় না। তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যেটা সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই হবে। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি সংক্রান্ত ব্যাপারে মিটিং ছিল। এর সঙ্গে অন্য় কোনও ব্যাাপর নেই।