গোটা দেশ জুড়ে আছড়ে পড়েছে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্রমাগত কোভিড বিধিকে অমান্যতার জেরেই তার মাসুল গুনতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। তবে গত কয়েকদিন ধরে টানা লকডাউনের জেরে সংক্রমণ অনেকটাই কমছে। কিন্তু এসবের মধ্যেই কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য প্রহর গুণছেন অনেকেই। কিন্তু কতটা ভয়াবহ হতে পারে কোভিডের এই তৃতীয় ঢেউ? এই ঢেউ শিখর ছোঁয়া রোধ করতে ঠিক কী কী করতে হবে সাধারণ মানুষকে? সেব্য়াপারে একদিকে সতর্কবার্তা ও একদিকে পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় নীতি আয়োগ।
নীতি আয়োগের সদস্য বিকে পাল সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘আমরা গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে যা যা করেছি তার ফের পুনরাবৃত্তি হলে ফল হতে পারে মারাত্মক।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘লকডাউনের জেরে ভাইরাসকে অনেকটাই আটকে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তবে ডিসেম্বর ও জানুয়ারির ভুলের মাসুল আমরা দিয়েছি। ফের একবার সেই ভুল করলে তৃতীয় ঢেউ আরও দ্রুত আছড়ে পড়বে ভারতে।’ কিন্তু এ থেকে রক্ষা পেতে গেলে কী করতে হবে? এক্ষেত্রে স্বস্তির কথা শুনিয়েছেন তিনি। তিনি আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, ‘সঠিকভাবে কোভিড বিধি মেনে চললে ভারতে তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাব অনেকটাই কম পড়বে। তবে তার আগে প্রয়োজন গণ টিকাকরণ।’
বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিড ঢেউয়ের ভয়াবহতা কমানোর বিষয়টি অনেকটাই সাধারণ মানুষের উপর রয়েছে। সেক্ষেত্রে কোভিড সতর্কতা বিধি মেনে চলতেই হবে। এই বিধি মানার ক্ষেত্রে কোথাও গাফিলতি থাকলেই সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। পাশাপাশি কোভিড ভাইরাসের ভারতীয় প্রজাতি ডেলটা ভ্যারিয়্যান্টই দেশে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার বড় কারণ।