অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসাকে ‘দেউলিয়া ও বোকা বিজ্ঞান’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন রামদেব। সেই সংক্রান্ত ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সোশ্য়াল মিডিয়ায়। এনিয়ে গোটা দেশ জুড়ে রামদেবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনও রামদেবকে এই ধরনের মন্তব্য প্রত্যাহার করতে বলেছিলেন। এবার রামদেবের সেই মন্তব্যের জল গড়াল কলকাতা পর্যন্ত। এবার সিঁথি থানায় রামদেবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের পশ্চিমবঙ্গ শাখা( আএমএ)।
করোনার চিকিৎসা নিয়ে রামদেব বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন সেই অভিযোগ তুলেই সরব হয়েছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁদের দাবি, অতিমারি পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই পরিস্থিতিতে রামদেবের এই ধরনের মন্তব্য কোনওভাবেই কাঙ্খিত নয়। তিনি যেটা বলেছেন তা আইন অনুসারে একটি অপরাধ। পাশাপাশি নিজের লাভের স্বার্থে রামদেব অ্য়ালোপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করছেন বলেও অভিযোগ তুলেছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
নিজের প্রতিষ্ঠানের লাভের জন্য়ই পরিকল্পিতভাবে রামদেব অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা সম্পর্কে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করছেন বলে চিকিৎসকদের একাংশ মতামত দিয়েছেন। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, কোভিড পরিস্থিতিতে বহু রোগীকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনছেন চিকিৎসকরা। তবুও রামদেব অ্যালোপ্যাথি ওষুধ সম্পর্কে বিভ্রান্তিমূলক কথা বলছেন। এর জেরে কোভিড পরিস্থিতিতে সাধারন মানুষের মধ্যে মারাত্মক আতঙ্ক ও বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে। যার জেরে কোভিড চিকিৎসা ভয়াবহ প্রভাব পড়তে পারে। অবিলম্বে রামদেবের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সরব হয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে এখানেই প্রশ্ন উঠছে, কেন রামদেবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে এত দ্বিধা করছে সরকার?