এবছর এই মাসে ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ ১৫০ তম বছরে পা দিচ্ছে। সেই বছরকে অবশ্যই স্মরণীয় হয়ে থাকবে ভারতীয় আইএমডির ইতিহাসে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় এনিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র এনিয়ে ভারতীয় আবহাওয়ার বিভাগের নানা দিক তুলে ধরেছেন। কীভাবে আরও উন্নত করা হয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া দফতরকে সেটাও তুলে ধরা হয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, আগামী ৫ বছরে আবহাওয়ার পূর্বাভাসকে আরও নিখুঁত করার জন্য় সবরকম উদ্যোগ নেওয়া হবে। দেশের একেবারে প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে যাবে ভারতীয় আবহাওয়ার বিভাগের গতিবিধি। ৩৬টা রাডারের জায়গায় ৮৬টি রাডার করা হচ্ছে। এবার ৮০ শতাংশ ভারতীয় যাতে আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হবে। বৃষ্টিপাতের ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ পূর্বাভাস নিখুঁত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ওই আবহাওয়া বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, ১০০ শতাংশ নিখুঁত করা সম্ভব নয়। তবে আমাদের দীর্ঘকালীন পরিকল্পনা রয়েছে। কৃষকদের সুবিধার জন্য় নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসের ভুলকে আগের তুলনায় অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে বহু আবহাওয়া বিজ্ঞানী আমাদের ভূভাগ ও উপকূলীয় এলাকার তথ্যকে উপগ্রহের মাধ্যমে গ্রহণ করে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ওই বিজ্ঞানীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ কি আরও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটার বা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করবে? মানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া কি সম্ভব?
বিজ্ঞানী জানিয়েছেন , আবহাওয়ার পর্যবেক্ষণের বিষয়টি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটারের মাধ্যমেই করা হয়। তবে আবহাওয়ার পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে জিও ইঞ্জিনিয়ারিং প্রসেস ও আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্সি প্রয়োগ করা হয়।তবে এটা সবে শুরু করা হয়েছে। আরও পথ যেতে হবে।
সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখতে গেলে এই আবহাওয়া দফতরের উন্নতি হলে কী ধরনের উপকার হতে পারে?
সতর্কবার্তাগুলো আরও আগে পাওয়া গেলে একটা সাইক্লোন থেকেই অন্তত ৫০০ কোটির সম্পত্তি বাঁচানো সম্ভব। সমস্ত গরিব কৃষকরা যদি আমাদের সার্ভিস ব্যবহার করেন তবে একটি বছরে ১৩,৩০০ কোটি টাকা বাঁচানো সম্ভব।