পাকিস্তানে নিজের গদি বাঁচানো নিয়ে সংশয়। তবুও ভারত নিয়ে মন্তব্য করতে কখনও পিছপা হন না পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ফের একবার সরব হয়ে ইমরান খান পারমাণবিক যুদ্ধের ‘হুঁশিয়ারি’ দিলেন। পাকিস্কানের জিও টিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, ‘আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমি বলেছি যে আপনি যদি এক ধাপ এগোন তাহলে আমি দুই ধাপ এগোব।’
ইমরান খান এদিন বলেন, ‘ভারতকে আমার থেকে ভালোভাবে কেউ চেনে না। ভারত আরএসএস-এর নীতির শিকার হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যতদিন না কাশ্মীর ইস্যু মিটছে, ততদিন ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি দূর হবে না।’ উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে উরিতে জঙ্গি হামলার পর থেকেই ভারত-পাক সম্পর্ক নয়া তলানিতে গিয়ে ঠেকে। এরপর পুলওয়ামা জঙ্গি হামলাতে আরও অবনতি ঘটে দুই দেশের সম্পর্কের। দুই ক্ষেত্রেই ভারত সার্জিকাল স্ট্রাইক করে পাকিস্তানের মাটিতে থাকা জঙ্গি ঘাঁটি নষ্ট করে। এরপর ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে রাজ্যটিকে পুনর্ঘটিত করে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হলে আরও খারাপ হয় দুই দেশের সম্পর্ক।
রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে পাকিস্তান বহুবার কাশ্মীর ইস্যুকে তুলে ধরতে চেয়েছে। তবে নিজেদের কার্জক্রমের জেরেই প্রতিবার মুখ পুড়েছে ইসলামাবাদের। যেভাবে এখনও সেদেশে দাউদ ইব্রাহিম, আজহার মাসুদের মতো জঙ্গিরা খুল্লম খুল্লা ঘুরে বেরায়, তা সর্বজনবিদিত। এই আবহে এফএটিএফ তালিকাতেও কালো তালিকাভুক্ত হয়ে আছে পাকিস্তান। ‘বন্ধু’ চিনও সাহায্য করতে পারছে না পাকিস্তানকে। আবার ঘরোয়া রাজনীতিতে চাপে ইমরান খান। এই আবহে বিশ্লেষকদের মত, ভারতের বিরুদ্ধে ইমরানের এই সুর চড়ানো আদতে নিজেকে চাপমুক্ত করার চেষ্টা।