গোয়াতে কংগ্রেসকে কোণঠাসা করতে গিয়ে বিজেপিকে সুবিধা করে দিচ্ছে তৃণমূল। এনিয়ে দলীয় মুখপাত্রে তৃণমূলকে একহাত নিলেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। প্রসঙ্গত কিছুদিন আগে জাতীয়স্তরে জোট করা নিয়ে এই সঞ্জয় রাউতই কথা বলেছিলেন তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে। আর এখন শিবসেনার দাবি, তৃণমূল ও আম আদমি পার্টি গোয়াতে ভোটারদের প্রভাবিত করতে ও প্রতিষ্ঠিত নেতাদের নিজেদের দিকে টানতে টাকা ছড়াচ্ছে।
দলীয় মুখপাত্র সামনাতে শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত জানিয়েছেন,গোয়াতে কংগ্রেসকে শেষ করে দেওয়ার যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক অবস্থানের সঙ্গে মেলে না। দেশের অন্য়তম প্রাচীন একটি দলকে উপড়ে ফেলা বিজেপির স্বপ্ন হতে পারে, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো একজন নেত্রী যিনি শাসকের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন তাঁর এধরনের অবস্থান হওয়া বাঞ্চনীয় নয়। তিনি বলেন, তৃণমূলের এই রাজনীতি শেষ পর্যন্ত বিজেপিকেই সুবিধা করে দেবে।
শিবেসনা নেতৃত্বের দাবি, গোয়াতে কংগ্রেসের শক্তি ১৭ থেকে ২তে গিয়ে ঠেকেছে। রাজ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কোনও শক্তিশালী নেতা নেই। রাজ্যস্তরের এই ভোটে জাতীয়স্তর থেকেও নজর দেওয়া হচ্ছে না। যার ফলে তৃণমূল ও আপের মতো দল তারা এখন ভূমিপুত্রদের উন্নতির কথা বলে বেড়াচ্ছে। দুটো পার্টিই খ্রীষ্টান ভোটের দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু খ্রীষ্টানরা কংগ্রেসকে চাইছেন। অন্যদিকে যে কয়েকজন বিক্ষুব্ধ নেতা কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন, তাঁরা টিকিট পাবেন না এটা ধরে নিয়ে আবার কংগ্রেসে ফেরৎ আসছেন। এদিকে কংগ্রেসও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বাসঘাতকদের আর দলে জায়গা দেওয়া হবে না।
কিন্তু তৃণমূল এত টাকা কোথা থেকে পাচ্ছে? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, আমি লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। শাসকদল কিছুতেই ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না। কিন্তু তৃণমূল বিজেপিকে সুবিধা করে দিচ্ছে। তবে বিজেপি বিধায়ক রাম কদমের দাবি, শিবসেনাকে অত ভাবতে হবে না। আমরা জয়ী হয়ে ওদের মিষ্টি খাইয়ে দেব।