গত তিন বছরে এই প্রথমবার। চলতি অর্থবর্ষের কেন্দ্রীয় বাজেটের তুলনায় ব্যয়ের পরিমাণ কমানোর প্রচেষ্টা হতে পারে। এই বিষয়ে ওয়াকিবহাল দুই সূত্র রয়টার্সকে এমনটাই জানিয়েছে। ৬.৪% ফিসকাল ডেফিসিটের লক্ষ্য পূরণ করাই পাখির চোখ কেন্দ্রের।
এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সরকারের মোট ব্যয় ৭০০ বিলিয়ন থেকে ৮০০ বিলিয়ন টাকা কম হতে পারে। বাজেটের ৩৯.৪৫ ট্রিলিয়ন টাকার পরিকল্পনার তুলনায় কম খরচের সম্ভাবনা রয়েছে। আরও পড়ুন: Report: ২০৩১ সাল নাগাদ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে ভারত: মরগান স্ট্যানলি
ফিসকাল ডেফিসিটে লাগাম টানার মরিয়া চেষ্টা করছে সরকার। সাধারণ ৪%-৫%-এর মধ্যে এই মাত্রা ঘরে রাখা হয়। এদিকে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে কোভিড পরিস্থিতির কারণে ফিসকাল ডেফিসিট বা রাজস্ব ঘাটতি অনেকটাই বেড়ে যায়। সেই অর্থবর্ষে রেকর্ড ৯.৩%-এ পৌঁছে যায় ফিসকাল ডেফিসিট।
জ্বালানিতে কর কমানোর প্রচেষ্টা করছে কেন্দ্র। তার তার প্রভাবে রাজস্ব ১ ট্রিলিয়ন টাকারও বেশি কমতে পারে। তবে সূত্রের খবর, মোট রাজস্ব এরপরেও চলতি বছরে ১.৫ ট্রিলিয়ন থেকে ২ ট্রিলিয়ন রুপির বেশি বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কিন্তু সেটাকে সুখবর বলা যায় না। রাজস্ব বৃদ্ধি পেলেও তা অতিরিক্ত ব্যয় মেটানোর পক্ষে যথেষ্ট নয়। কারণ সম্ভাব্য ১.৫ ট্রিলিয়ন থেকে ১.৮ ট্রিলিয়ন টাকার অতিরিক্ত খাদ্য ও সার ভর্তুকি হিসাবে দিতে হচ্ছে সরকারকে। আর সেই কারণেই ফিসকাল ডেফিসিটের লক্ষ্য স্পর্শ করা যাবে কিনা, তাই নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন অনেকে।
কেন্দ্রীয় সূত্রের দাবি, সরকার কোনওভাবেই রাজস্ব ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে আসতে নারাজ। আর সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করা হতে পারে।
সংশোধিত বাজেট নিয়ে বর্তমানে আলোচনা করছেন কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞরা। ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আপাতত কোন কোন খাতে ব্যয় হ্রাস হতে পারে, তা এখনও জানা যায়নি। এই বিষয়ে মন্তব্য করতে নারাজ কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। আরও পড়ুন: শীতকালে ৪৪% পর্যন্ত বাড়ছে উড়ানের ভাড়া! কারণ শুনলে চমকে উঠবেন
Citi, Kotak এবং ICRA-এর মতো ব্রোকারেজ সংস্থার অর্থনীতিবিদরা ৬.৪% ঘাটতি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা কঠিন বলে মনে করছেন। কোনও ব্যয় সংকোচন না হলে, কোটাকের মতে ৬.৬% রাজস্ব ঘাটতি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে।