দুই দেশেই রয়েছে করোনাভাইরাসের প্রকোপ। এই পরিস্থিতিতে ভারতে এলেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাসান মামুদ। এখানে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দেখা করলেন তিনি। বৈঠকও হল তাঁদের মধ্যে। দ্বিপাক্ষিক ইস্যুতে কথা হয়েছে বলে খবর। সাক্ষাৎ–পর্বের কথা টুইট করে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আমি আনন্দিত। আমাদের দুই দেশের সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক ক্রমশ এগিয়ে চলেছে।’
করোনাভাইরাসের জেরে দুই দেশের মধ্যে অনেকদিন কোনও বৈঠক হয়নি। গত মার্চ মাসে শেষ দু’দিনের সফরে বাংলাদেশ গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এপ্রিল মাসে বাংলাদেশে পাঁচ দিনের সফরে যান সেনাপ্রধান এমএম নারাভানে। জুন মাসে ভারতের বায়ুসেনা প্রধান ভাদুড়িয়াও যান বাংলাদেশে। তারপর থেকে আর কোনও সাক্ষাৎ–পর্ব ঘটেনি। সুতরাং এই সাক্ষাৎ বিশেষ মর্যাদা পাচ্ছে।
তবে কাজকর্ম চলছিল। ভারত থেকে বাংলাদেশে অক্সিজেন পাঠানোর কাজ চলেছে। টিকাও পাঠানো হয়েছে। এবার বাংলাদেশে আরও টিকা পাঠানো হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকে। ইতিমধ্যেই অক্সিজেন প্লান্ট পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশের মন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে জানান, সংক্রমণের হার ২৫ শতাংশ থেকে দুই শতাংশে নামিয়ে এনেছে ভারত। এটা একটা বিশেষ কৃতিত্ব।
উল্লেখ্য, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর গত ২১ জুন থেকে ১৭ অগস্ট পর্যন্ত সড়ক পথে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ৫ হাজার ৩২৫ মেট্রিক টন অক্সিজেন। ভারত যে অক্সিজেন উৎপাদন করে তা বাংলাদেশে রফতানি করে থাকে। ভারতের কোভ্যাকসিনেরও পরীক্ষা শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি দেওয়া হয়েছে সে দেশে। তাই সবমিলিয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে দ্রিপাক্ষিক বৈঠক।