একলাফে ১০২ থেকে ৪৮ - বিমান পরিবহণের সুরক্ষার ক্ষেত্রে ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইসিএও) র্যাঙ্কিংয়ে বড়সড় উত্থান হল ভারতের। শুধু তাই নয়, যখন থেকে রাষ্ট্রসংঘের ওই এজেন্সির তরফে র্যাঙ্কিং চালু করা হয়েছে, তখন থেকে এটাই ভারতের সর্বোচ্চ স্থান।
শনিবার ভারতের অসামরিক বিমান পরিবহণের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (ডিজিসিএ) প্রধান অরুণ কুমার জানিয়েছন, এবার ভারতের ‘এফেকটিভ ইমপ্লিমেটেশন’ স্কোর দাঁড়িয়েছে ৮৫.৪ শতাংশ। তার ফলে একলাফে ভারত ৪৮ নম্বর স্থানে উঠে এসেছে। যা ২০১৮ সালে ১০২ ছিল। সেইসময় ভারতের স্কোর ছিল ৬৯.৯৫ শতাংশ।
ডিজিসিএয়ের আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশনের র্যাঙ্কিং অনুযায়ী, বিশ্বের সবথেকে সুরক্ষিত বিমান পরিবহণের নিরিখে শীর্ষে আছে মালয়েশিয়া। তারপর আছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (দ্বিতীয়) এবং দক্ষিণ কোরিয়া (তৃতীয়)। আমেরিকা আছে ২২ তম স্থানে। চিন ৪৯ তম, ইজরায়েল ৫০ তম এবং তুরস্ক ৫১ তম স্থানে আছে। অর্থাৎ বিমান পরিবহণে সুরক্ষার ক্ষেত্রে ভারতের থেকে পিছিয়ে আছে ওই তিনটি দেশ (চিন, ইজরায়েল এবং তুরস্ক)।
আরও পড়ুন: Fighter aircraft: কলকাতার শহরতলিতে আকাশে উড়ল F-16 যুদ্ধবিমান! শোরগোল এলাকায়
বিষয়টি নিয়ে ভারতের অসামরিক বিমান পরিবহণের নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-কে বলেছেন, ‘আমরা এখন শৃঙ্গে আছি। নয়া যে তকমা মিলেছে, সেটা বজায় রাখাই হল মূল চ্যালেঞ্জ। আমরা সবপক্ষকে আশ্বস্ত করছি যে ভারতের র্যাঙ্কিং আরও ভালো করার জন্য যে কোনও কাজ করতে তৈরি আছে ডিজিসিএ।’
আরও পড়ুন: Digi Yatra: নথি লাগবে না, মুখ দেখালেই ঢোকা যাবে বিমানবন্দরে, আসছে কলকাতাতেও
উল্লেখ্য, গত ৯ নভেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বরের মধ্যে সেই অডিট চালিয়েছিল ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশন। সংগঠন, ব্যক্তিগত লাইসেন্সিং, এরোড্রোম, পরিষেবার মতো ছ'টি বিষয়ের উপর অডিট চালানো হয়েছিল। তবে বিমান দুর্ঘটনা ও তদন্ত এবং এয়ার নেভিগেশনের অডিট করা হয়নি। ডিজিসিএ প্রধান বলেন, 'যাবতীয় নিয়ম মেনে চলা হচ্ছে কিনা, তা দেখতে দিল্লি বিমানবন্দর, স্পাইসজেট, চার্টার পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা, এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল, কমিউনিকেশন নেভিগেশন ও অ্যান্ড সার্ভিলেন্স খতিয়ে দেখেছে টিম।'