আমেরিকার সিয়াটেলে ভারতীয় পড়ুয়া জাহ্নবী কানুদালার মৃত্যু ঘিরে ক্ষোভে ফুঁসছে তাঁর সহযোগী থেকে শুরু করে শুভানুধ্যায়ীরা। অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আমেরিকায় পড়তে যাওয়া জাহ্নবী, মাঝ রাস্তায় পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের মাঝে এল বড় মোড়। ২৩ বছরের জাহ্নবীর এই মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার কেভিন ডেভকে এই মামলায় অপরাধের আওতা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এই মামলা নিয়ে এক চুল জমিও ছাড়তে নারাজ সিয়াটেলে অবস্থিত ভারতীয় কনস্যুলেট জেনারেলের অফিস। কার্যত এই ইস্যুতে দিল্লি দিয়ে দিয়েছে কড়া বার্তা।
সিয়াটেলে অবস্থিত ভারতীয় কনস্যুলেট জেনারেলের অফিস জানিয়েছে, তারা বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। সেখানে দিল্লি কার্যত দিয়েছে কড়া বার্তা। জানা গিয়েছে, গত বছরের ২৩ জানুয়ারি অফিসার কেভিন ডেভের পেট্রেলিংএর গাড়ি প্রবল গতিতে সিয়াটেলের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময়ই গাড়ি কার্যত পথচলতি জাহ্নবীর ওপর দিয়ে চলে যায় বলে খবর। বলা হচ্ছে, কোনও একটি জ্রাগ ওভারডোজের ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ অফিসার কেভিন সেদিন গাড়ি জোরে চালাচ্ছিলেন। গাড়ির গতি ছিল ঘণ্টা ৭৪ এমপি। জাহ্নবীকে ১০০ ফুট দূরে ওই গাড়ি ছুঁঁড়ে ফেলে।
এদিকে, এই মামলায় বুধবার কিং কাউন্টির প্রসিকিউটার অফিস জানিয়েছে, তারা এই মামলায় অভিযুক্ত কেভিন ডেভের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ নিয়ে এগোবে না। অ্যাটর্নি লিসা ম্যানিসন বলেছেন, ‘ কান্ডুলার মৃত্যু হৃদয়বিদারক এবং কিং কাউন্টি এবং সারা বিশ্বের সম্প্রদায়গুলিকে প্রভাবিত করেছে ৷’ অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার কেভিন ডেভের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটন স্টেট ল-এর আওতায় সেভাবে উপযুক্ত প্রমাণ মেলেনি। তার জেরেই তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত অপরাধমূলক অভিযোগ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এদিকে, অ্য়াটর্নির বিবৃতির পর সিয়াটেলে অবস্থিত ভারতের কনস্যুলেট জেনারেলর অফিসও প্রতিক্রিয়া জানায়। ভারত বলছে, ‘পরিবারের প্রতিনিধিদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ এবং জাহ্নবী ও তাঁর পরিবারের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখবে।’ সিয়াটেলে ভারতের কনস্যুলেট জেনারেলের অফিস বলেছে,' আমরা যথাযথ প্রতিকারের জন্য সিয়াটল পুলিশ সহ স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জোরালোভাবে উত্থাপন করেছি। মামলাটি এখন পর্যালোচনার জন্য সিয়াটেল সিটি অ্যাটর্নির অফিসে পাঠানো হয়েছে।' ভারত বলছে, ‘আমরা সিয়াটেল পুলিশের প্রশাসনিক তদন্ত সমাপ্তির জন্য অপেক্ষা করছি এবং মামলার অগ্রগতি নজর থাকবে।’