ইন্ডিগোর এক যাত্রী এক পাইলটকে টেনে একটা থাপ্পড় মেরেছিলেন বলে অভিযোগ। প্রায় ১৩ ঘণ্টা দেরিতে চলছিল বিমান। সেই সময় ওই যাত্রী পাইলটের উপর রেগে গিয়ে তাকে চড় মারেন বলে অভিযোগ। সেই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। ওই যাত্রী পরে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, তিনি গোয়াতে হানিমুনে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তিনি রাগ সামলাতে পারেননি। তবে পুলিশের দাবি তিনি পাঁচ মাস আগে বিয়ে করেছেন। এতদিন পরে হানিমুন? এটা আবার কীরকম কথা!
ওই যাত্রীর নাম সাহিল কাটারিয়া। বয়স ২৮ বছর। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরপর তাকে জামিনে ছেড়েও দেওয়া হয়। রবিবার দিল্লি থেকে গোয়ার দিকে যাচ্ছিল ইন্ডিগোর ফ্লাইটটি। আর সেই সময় ভিডিয়ো তোলা হয়। সেখানে দেখা গিয়েছে ওই যাত্রী ফ্লাইটের সহকারি ক্যাপ্টেন অনুপ কুমারের উপর চড়াও হন। তাকে রীতিমতো মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কারণ ওই পাইলট ঘোষণা করেছিলেন যে কুয়াশার জন্য বিমান চালাতে দেরি হবে। এরপর ওই বিমানের মধ্য়েই প্রায় ১০ ঘণ্টা বসে থাকতে হয় যাত্রীদের। এরপর একটা সময় রেগে গিয়ে সহকারি পাইলটকে কষিয়ে থাপ্পড়।
সূত্রের খবর সেদিন মারাত্মক রেগে যান ওই যাত্রী। চিৎকার করে বলতে থাকেন, বিমান চালাতে হলে চালা না হলে না চালা। কিন্তু গেট খুলে দাও। এরপরই পাইলটের উপর সে চড়াও হয়েছিল বলে অভিযোগ। এদিকে সেই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই একেবারে হইহই পড়ে যায়। অনেকেই দাবি করতে থাকেন এই ধরনের যাত্রীকে গ্রেফতার করা দরকার। কারণ ওই পাইলট কেবলমাত্র তাঁর ডিউটিটা করছেন। এর বাইরে তিনি কিছু করছেন না।
সূত্রের খবর অভিযুক্ত সাহিল দিল্লিতে একটা খেলনার দোকান চালান। তিনি গোয়া যাচ্ছিলেন বলে দাবি করেন। কিন্তু দেরি হয়ে যাওয়ায় তিনি ধৈর্য্য হারান। বিমানটি রবিবার সকাল ৭টা ৪০ মিনিট নাগাদ ওড়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা ওড়া শুরু করে সন্ধ্যে ৬টা ৪০ মিনিট নাগাদ। এতেই রেগে যান ওই যাত্রী। তবে পুলিশের দাবি
প্রসঙ্গত, গত রবিবার ইন্ডিগোর দিল্লি-গোয়া বিমানে পাইলটকে ঘুষি মারার ঘটনাটি ঘটেছিল বলে দাবি করা হচ্ছে।। দীর্ঘক্ষণ দেরির জেরে সেই বিমানের পাইলট বদল হয়। তারপরে নতুন পাইলট এসে আরও এক দফায় উড়ান বিলম্বের ঘোষণা করেন। এরপরই বিমানের পিছন দিক থেকে উঠে এসে পাইটকে মেরে বসেন সাহিল। পরে দেখা যায় ইন্ডিগোর অভিযোগের ভিত্তিতে সেই যাত্রীকে বিমান থেকে নামিয়ে আনেন সিআইএসএফ জওয়ানরা।