কোনও সাক্ষী ছাড়া বাড়ির চার দেওয়ালের মধ্যে তফসিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণিভুক্ত মানুষের প্রতি অপমানসূচক মন্তব্য করলে তা অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে না। বৃহস্পতিবার এমনই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে তফসিলি জাতি বা উপজাতি আইনের আওতায় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জশিট খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। যাঁর বিরুদ্ধে এক মহিলাকে তাঁর বাড়ির মধ্যেই কটূ কথা বলার অভিযোগ উঠেছিল।
তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, ‘কোনও মানুষের প্রতি যাবতীয় অপমান বা ভয় দেখানোকে তফসিলি জাতি বা উপজাতি আইনের আওতায় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে না, যদি না তিনি তফসিলি জাতি বা উপজাতি শ্রেণির হওয়ার জন্যই সেই অপমান বা ভয় দেখানো হয়।’ একইসঙ্গে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, জনগণের গোচরের মধ্যে কোনও স্থানে যখন সমাজের সেই শ্রেণির মানুষকে ‘অসম্মান, অবমাননা এবং নিগ্রহ’-এর মুখে পড়তে হয়, তখন তফসিলি জাতি বা উপজাতি আইনের আওতায় তা অপরাধ হিসেবে ধরা হবে।
উত্তরাখণ্ড সরকারের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ১১ ডিসেম্বর হিতেশ ভার্মা নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে তফসিলি জাতি বা উপজাতি আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় সেই মামলা রুজু করা হয়েছিল। পরে উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেন হিতেশ। সেই মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বলে, ‘বাড়ির চার দেওয়ালের মধ্যে সেই অপরাধ হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তাই সরণ সিং (২০০৮) মামলায় এই আদালতের রায়ের ভিত্তিতে এটা বলা যায় না যে সেটা জনসমক্ষে ছিল। কারণ এফআইআর এবং চার্জশিট অনুযায়ী, বাড়ির চার দেওয়ালের মধ্যে কেউ উপস্থিত ছিলেন না।’