কাবুলে অবস্থিত পাকিস্তান দূতাবাসে হামলার দায় স্বীকার করল ইসলামিক স্টেট জঙ্গিগোষ্ঠী। শুক্রবার পাক দূতাবাস লক্ষ্য করে গুলি চলে। তাতে গুলিবিদ্ধ হন এক পাক নিরাপত্তা রক্ষী। এই ঘটনাকে ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছে পাকিস্তান। সেই ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই দায় স্বীকার করল ইসলামিক স্টেট। একটি বিবৃতি জারি করে ইসলামিক স্টেটের তরফে জানানো হয়েছে, যে তারা ‘ধর্মত্যাগী’ পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত এবং তাঁর রক্ষীদের উপর হামলা করেছে।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে কাবুল পুলিশ। নিরাপত্তা বাহিনীর কাছাকাছি একটি ভবনে তল্লাশি ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি দুটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলে কবুল পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ পাক দূতাবাসের ওপর হামলার ঘটনাকে ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করেছেন এবং তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। যদিও পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানের তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে কাবুলে নিজেদের দূতাবাস রেখে দিয়েছে পাকিস্তান। দূতাবাসের একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনার সময় শুধুমাত্র একজন হামলাকারী ছিল। এই হামলার নিন্দা করেছেন আফগানিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক।
প্রসঙ্গত, আফগানিস্তান তালিবানদের দখলে আসার পর অনেকের ধারণা ছিল পাকিস্তানের আধিপত্য বাড়বে। কারণ পাকিস্তানের তৎকালীন আইএসআই প্রধান ফয়েজ হামিদ তালিবান সরকার গঠনে সহায়তা করেছিলেন। কিন্তু, এক বছর পর পরিস্থিতি সম্পূর্ণ উল্টে যায়। তালিবান ও পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মধ্যে ফাটল ধরে। তালিবান স্পষ্টতই ডুরান্ড লাইনকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত হিসেবে বিবেচনা করতে অস্বীকার করেছে। অন্যদিকে, পাকিস্তানের তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) আবারও যুদ্ধবিরতি না মানার ঘোষণা করেছে। যার ফলে পাক-আফগান সম্পর্কে ফাটল ধরে। তারপরেই পাক দূতাবাসে হামলার ঘটনা ঘটে।