করোনাভাইরাস টিকা নিয়ে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নে জর্জরিত হল কেন্দ্র। শীর্ষ আদালতের তরফে কেন্দ্রকে প্রশ্ন করা হয়, টিকাকরণের জন্য কো-উইন পোর্টালে নথিভুক্তকরণের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবের জমিতে দাঁড়িয়ে গ্রামের সকলের পক্ষে আদৌও কি সেটা সম্ভব? সেটা কি আদৌও বাস্তবসম্মত?
বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের তরফে বলা হয, 'আপনারা ডিজিটাল ইন্ডিয়া, ডিজিটাল ইন্ডিয়া কথা বলে যান। কিন্তু বাস্তবের ছবিটা আপনারা জানেন না। ঝাড়খণ্ডের একজন গরিব কর্মী কি কমন সেন্টার পর্যন্ত যাবেন? আপনাদের অবশ্যই নথিভুক্তিকরণের ব্যবস্থা আছে? কিন্তু আপনারা কীভাবে ডিজিটাল বিভেদ ঘুচিয়ে দেবেন? যে পরিযায়ী শ্রমিকরা এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যান, তাঁদের প্রশ্নের কী উত্তর দেবেন?'
সোমবার করোনাভাইরাসের জরুরি ওষুধ, অক্সিজেন, টিকার জোগান নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি হয়। সেই শুনানিতে ১৮-৪৪ বছরের টিকাকরণ, টিকার জন্য গ্লোবাল টেন্ডারের বিষয়গুলি নিয়ে কেন্দ্রকে একাধিক প্রশ্ন করে শীর্ষ আদালত। গ্রামের মানুষের টিকাকরণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, 'ডিজিটাল বিভেদের বিষয়টার কী হল? সবাইকে কো-উইনে নথিভুক্ত হবে না। সেখানে নথিভুক্ত করা কি গ্রামের মানুষের সত্যিই সম্ভব? আমরা কীভাবে আশা করতে পারি যে তাঁরা করতে পারবেন? আমাদের নিজেদের আইনের ক্লার্ক এবং বন্ধুরা চেষ্টা করেছেন।'
কেন্দ্রের তরফে যুক্তি দেওয়া হয় যে গ্রামবাসীরা কোনও কমন সেন্টার বা সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে নাম নথিভুক্ত করতে পারেন। তাহলেই তাঁদের টিকা দেওয়া হবে। যদিও সুপ্রিম কোর্টের তরফে প্রশ্ন করা হয়, 'এটি কি বাস্তবসম্মত?'