জম্মু ও কাশ্মীরের লেফ্টন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার তত্ত্বাবধানে সদ্য একটি প্রশাসনিক বৈঠক আয়োজিত হয়। সেখানে মনোজ সিনহা একটি আবেদনের নিরিখে অনুমোদন দেন। আবেদনে বলা হয়, যাতে জম্মু ও কাশ্মীরের শহুরে এলাকার ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে বিয়ারকে 'রেডি টু ড্রিঙ্ক ব্রেভারেজ' এর আওতায় এনে বিক্রির ছাড়পত্র দেওয়া হয়। সেই অনুমোদনে ছাড়পত্র দিতেই এবার মনোজ সিনহার বিরুদ্ধে চরম সমালোচনায় সরব হয় পিডিপি থেকে শুরু করে বিজেপি।
পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি বলেন, 'ওরা (লেফ্টন্যান্ট গভর্নর) ইস্যু করে দিলেন ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে মদের বিক্রি। আর তাঁদের মডেল স্টেট গুজরাত ও বিহারে তা নিষিদ্ধ। এটা করা হয়েছে মুসলিমদের আবেগে আঘাত করার জন্য। তারা আলাদা আলাদা নিয়ম নিয়ে হাজির হচ্ছেন। মদ সমস্ত দোকানো দোকানে বিক্রি হবে।' তিনি এরসঙ্গেই বলেন, 'অন্যভাবে বলতে গেলে তাঁরা মুসলিমদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করতে চাইছেন। ধর্মীয় নেতাদের জেলবন্দি করা হয়েছে । আর যাঁরা বাইরে আছেন, তাঁদের আঘাত করতে চাওয়া হচ্ছে।' মেহবুবা মুফতির সাফ হুঁশিয়ারি এমন 'অত্যাচার চলতে থাকলে ফলাফল নেতিবাচক হবে।' এদিকে, লেফ্যন্যান্ট গভর্নরের এই সিদ্ধান্তে মোটেও খুশি নন বিজেপি নেতা ও ভূস্বর্গের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী কবিন্দর গুপ্তা। তাঁর দাবি লেফ্টন্যান্ট গভর্নরের এই সিদ্ধান্ত উপত্যকার হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগকেও আঘাত করেছে। তিনি বলছেন, 'জম্মুকে সকলেই জানেন মন্দিরের নগরী হিসাবে। আমরা সেখানে বিয়ারের বিক্রি ও বাকি মদিরা বিক্রির বিরেধিতা করছি। '
ক্লাস ছেড়ে বেরিয়ে এসে হামলার প্রতিবাদ স্কুল পড়ুয়াদের! পাকিস্তানে কোন ছবি?
উল্লেখ্য, 'জম্মু ও কাশ্মীর লিকার লাইসেন্স ও সেলস রুল ,১৯৮৪ অ্যান্ড এক্সাইজ পলিসি'র নিরিখে শহুরে এলাকায় বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় সেখানে হিনদু ও মুসলিম দুই সম্প্রদায়ই দাবি করছে যে তা তাঁদের নিজস্ব ভাবাবেগে আঘাত করছে, এমন দাবি রাজনৈতিক নেতাদের। জানা গিয়েছে, শহুরে এলাকায় যে সমস্ত ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের আয় ১০ কোটির বেশি, তারা এই লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবে। এছাড়াও বিধিতে বলা হয়েছে, হুঠ হাঠ করে নয়, অন্তত ১২ মাস আগে যদি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরটি খোলা হয়ে থাকে, তাহলেই তারা এমন আবেদন করতে পারবে।