জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের তরফে নতুন একটি নতুন 'ল্যান্ড গ্র্যান্ট' বিধি লাগু হয়েছে। 'জমি অনুমোদন' সংক্রান্ত এই নয়া বিধির বিরোধিতায় সরব হয়েছেন ভূস্বর্গের প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী। পিডিপির মেহবুবা মুফতি ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের ওমর আবদুল্লারা এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসন কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের কথায় স্থানীয়দের জমির দাবি থেকে বেদখল করতে চাইছে।
উপত্যকার স্থানীয় দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট, ওমর আবদুল্লাহ ও পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি প্রেসিডেন্ট মেহবুবা মুফতির দাবি, নির্বিচারে স্থানীয়দের উচ্ছেদে উদ্যোগ নিচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরের স্থানীয় প্রশাসন। তাঁদের অভিযোগ, পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত মানুষ, হোটেল ব্যবসায়ী, প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িতরা এই নয়া জমি সংক্রান্ত আইনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অভিযোগ এও রয়েছে যে, স্থানীয়দের লিজ রিনিউয়ের কোনও সুযোগ না দিয়েই তাঁদের কাছ থেকে জমি কেড়ে নেওয়ার বন্দোবস্ত চলছে। জম্মু ও কাশ্মীর ল্যান্ড গ্র্যান্টস অ্যাক্ট, এসভিটি এবং ১৯৬০ আইনের আওতায় বলা হয়েছে, আবাসনের উদ্দেশ্য ছাড়া বাকি সমস্ত জমি যা বহির্গামী ইজারা বা ‘আউটগোইং লিজ’এর অংশ তা সরকারের কাছে দিতে হবে। অন্যথায় মেয়াদ শেষ হওয়া লিজে বা ইজারায় দখল করে রাখা জমি খালি করা হবে।
১৯৬০ এর জম্মু ও কাশ্মীর ল্যান্ড গ্র্যান্ট রুল ও ২০০৭ ল্যান্ড গ্র্যান্ট রুলসের আওতায় এই পদক্ষেপ করার কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে লিজ বা ইজারা পুর্ননবিকরণের (রিনিউ) এর বিষয়টিও বলা হয়েছে। এই পদক্ষেপকে ‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক’ বলে ব্যাখ্যা করেন ওমর আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘অন্তত যে মানুষগুলি এই প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা, ইমারতগুলিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন তাঁদের সুযোগ দেওয়া উচিত আগে। আমি সম্মত এটায় যে যাঁদের ইজারার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে, তার পুর্ননবিকরণ দরকার, যাঁদের ইজারা রয়েছে তাঁদের সুযোগ তো দেওয়া হোক পুর্ননবিকরণের, নির্দিষ্ট টাকা ধার্য করা হোক, আর তাঁদের বলা হোক সেই টাকা দিতে।’ ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন পিডিপির মেহবুবা মুফতিও, তিনি বলেন, ‘আমি উত্তর প্রদেশের কথা জানিনা, তবে অন্তত এখানে যে আইন বিজেপি প্রবর্তন করেছে, তাতে স্থানীয়দের থেকে জমি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয়দের থেকে জমি কেড়ে বাইরের লোককে তা দেওয়া হচ্ছে। ’