বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের উপর হামলার দায় চাপাল জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ) কর্তৃপক্ষ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, ক্যাম্পাসে কোনওরকম অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না। একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : 'হাতে লাঠি-রড়, মুখোশ পরে ক্যাম্পাসে দাপাচ্ছে দুষ্কৃতীরা', অভিযোগ JNU পড়ুয়াদের
বর্ধিত হস্টেল ফি প্রত্যাহারের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালাচ্ছেন পড়ুয়ারা। সেজন্য পরীক্ষা বয়কটের ডাক দেওয়া হয়। বয়কট করা হয় পরীক্ষার জন্য নাম নথিভুক্তকরণের প্রক্রিয়াও। জেএনইউ কর্তৃপক্ষের দাবি, নাম নথিভুক্তিকরণ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা গন্ডগোল পাকাচ্ছে। ৩ জানুয়ারি তাঁরা কমিউনিকেশন ও ইনফরমেশন সার্ভিসে এসে জোর করে সেখানকার কর্মীদের বের করে দেন। সেই সময় দলের সদস্যদের মুখ ঢাকা ছিল। সার্ভার খারাপ করে দেওয়া হয়। পরদিন সকালেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় বলে অভিযোগ জেএনইউ রেজিস্ট্রারের।
আরও পড়ুন : JNU-তে তাণ্ডব : রক্তাক্ত পড়ুয়া-অধ্যাপক, ভাঙচুর ক্যাম্পাসে
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গতকাল বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ অ্যাডমিন ব্লকের সামনে থেকে হিংস্রভাবে হস্টেলের দিকে যায় একদল পড়ুয়া, যারা পরীক্ষার জন্য নাম নথিভুক্তকরণের বিরোধিতা করছিল। রেজিস্ট্রারের অভিযোগ, 'যে পড়ুয়ারা নাম নথিভুক্তকরণের পক্ষে ছিলেন, তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয়। কয়েকজন মুখ ঢাকা দুষ্কৃতী পেরিয়ার হস্টেলে ঢুকে লাঠি, রড দিয়ে পড়ুয়াদের উপর হামলা চালায়। কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীদেরও বেয়াত করা হয়নি।'
আর পড়ুন : যাদবপুর থেকে জামিয়া, JNU তাণ্ডবের প্রতিবাদে সরব পড়ুয়ারা
যদিও বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে আঙুল তোলায় প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। তাঁদের বক্তব্য, ছাত্র সংগঠনের ঐশী ঘোষ-সহ অন্যান্যরা প্রতিবাদ করছিলেন। যদি বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা হামলা চালায়, তাহলে ঐশীকে কেন মারধর করা হবে?
আর পড়ুন : 'এই JNU-কে আমি চিনি না', বললেন প্রাক্তনী নির্মলা সীতারমন