১০ লাখের বেশি যাদের আয় সেই সমস্ত মন্দির থেকে ফান্ড সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে কর্ণাটকের সরকারি কর্তৃপক্ষ। এব্যাপারে কর্ণাটকের মন্ত্রী রামালিঙ্গ রেড্ডি বৃহস্পতিবার কার্যত রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এদিকে কর্ণাটকে হিন্দু রিলিজিয়াস ইনস্টিটিউশনস অ্য়ান্ড চ্যারিটেবল এনডাউমেন্ট ( অ্য়ামেন্ডমেন্ট) বিল পাশ করা হয়েছে। এনিয়ে বিজেপি তীব্র কটাক্ষ করেছে। তাদের দাবি, মন্দিরের টাকা দিয়ে কংগ্রেস সরকার তাদের ক্ষিধে মেটাতে চাইছে।
এদিকে বুধবারই এই বিল পাশ করা হয়েছে। সাধারণভাবে ফান্ড বৃদ্ধির জন্য এই বিল পাশ করা হয়। এদিকে রামালিঙ্গ রেড্ডি অবশ্য় জানিয়েছেন, এই সুবিধা নতুন কিছু নয়। এটা সেই ২০০৩ সাল থেকে রয়েছে।
এবার এই বিল প্রসঙ্গে আসছে ধার্মিকা পরিষদের কথা। ধার্মিকা পরিষদ হল মন্দির পরিচালন কমিটি। এই কমিটির মাধ্য়মে ভক্তদের কল্যাণেও নানা কাজ করা হয়।
এদিকে কর্ণাটকে সব মিলিয়ে ৩০০০ সি গ্রেডের মন্দির রয়েছে। সেখান থেকে ৫ লাখেরও কম আয় হয়। এদিকে সেখান থেকে ধার্মিকা পরিষদের কোনও আয় হয় না।
এদিকে বি গ্রেড মন্দিরও রয়েছে। সেখান থেকে ৫-২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় হয়। সেখান থেকে ৫ শতাংশ যায় ধার্মিকা পরিষদের কাছে। আর সেই ২০০৩ সাল থেকেই এই আয়ের ব্যবস্থা রয়েছে।
আর ২৫ লাখের উপর যে মন্দিরের আয় সেখান থেকে ধার্মিকা পরিষদ পায় ১০ শতাংশ অর্থ।
তবে রেড্ডি বর্তমানে জানিয়েছেন, ১০ লাখ পর্যন্ত যাদের আয় তাদের ধার্মিকা পরিষদকে আর দিতে হবে না। ১০ লাখ থেকে ১ কোটি পর্যন্ত যাদের আয় তাদের কাছ থেকে ৫ শতাংশ আদায়ের কথা আমরা বলেছি। এক কোটির উপর যাদের আয় তাদের কাছ থেকে ১০ শতাংশ আদায়ের কথা বলেছি। সবটাই যাবে ধার্মিকা পরিষদের কাছে। মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যে ৪০,০০০ থেকে ৫০,০০০ পুরোহিত রয়েছে। সরকার তাদের পাশে দাঁড়াতে চায়। সেকারণেই এই উদ্যোগ। এমনকী মন্ত্রীর দাবি, টাকাটা যদি ধার্মিকা পরিষদের কাছে যায় তবে আমরা তাদের বিমার ব্যবস্থাও করতে পারব।
অন্যদিকে তিনি জানিয়েছেন, মন্দিরের পুরোহিতদের সন্তানদের স্কলারশিপের ব্যবস্থা করা হবে। এজন্য বছরে পাঁচ থেকে ৬ কোটি টাকার দরকার।