এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডিগ্রি বিতর্কে নয়া মোড়। দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও আপ এমপি সঞ্জয় সিং সেশন কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গুজরাট হাইকোর্টে গিয়েছিলেন। গুজরাট হাইকোর্ট শুক্রবার এই নির্দেশদানকে আপাতত স্থগিত রেখেছে।
অ্য়াডভোকেট রেবেকা জন ছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আইনজীবী ও নিরুপম নানাবতী ছিলেন গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষের আইনজীবী। শুনানির পরে বিচারপতি হাসমুখ সুথার রায়দান স্থগিত রাখেন। খবর বার অ্যান্ড বেঞ্চ সূত্রে।
এদিকে কেজরিওয়াল ও সঞ্জয় সিংয়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিল গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের অভিযোগ ছিল প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি সম্পর্কে কিছু না জানানোর জেরে, ওই দুজন সম্মানহানি হয় এমন মন্তব্য করেছিলেন।
এদিকে আইনজীবী রেবেকা জন জানিয়েছেন, যে মন্তব্যের কথা বলা হচ্ছে সেটা অন্য কারোর বিরুদ্ধে বলা হয়েছিল। সেকারণে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ করতে পারে না বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি বলেন, টার্গেট ছিল অন্য় কেউ। এখানে নৈতিকতা, অনৈতকতা নিয়ে কিছু বলছি না। কারণ এটা আইনের ব্যাপার।
তাঁর কথায় আমার মক্কেলরা তো বলেননি যে বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি জাল করেছে। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসঙ্গ আসছেই না। বিশ্ববিদ্যালয়কে অপমান করার কোনও অভিপ্রায় নেই।
প্রসঙ্গত প্রধানমন্ত্রী ডিগ্রিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন আপ নেতৃত্ব। এনিয়ে নানা টানাপোড়েন চলছে দিনের পর দিন ধরে। এর আগে রিভিউ পিটিশনে কেজরিওয়াল জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর পোস্ট গ্র্য়াজুয়েট ডিগ্রির বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে বা পাবলিক ডোমেনের কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা জানিয়েছিলেন । কিন্তু সেটা পাওয়াই যাচ্ছে না।
এদিকে সেই রিভিউ পিটিশনে উল্লেখ করা হয়েছিল, কোর্টে রেকর্ড করা হয়েছিল যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি সংক্রান্ত তথ্য় মিলবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে সলিসিটর জেনারেল এমনটাই জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ওয়েবসাইট একেবারে আগাগোড়া খুঁজেও মোদীর ডিগ্রি মিলছে না। তবে অফিস রেজিস্টারকে উল্লেখ করে একটা নথি মিলেছে।
কেজরিওয়াল তাঁর আবেদনে জানিয়েছেন, সলিসিটর জেনারেল মৌখকভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন ওয়েবসাইট খুঁজলেই ডিগ্রি পাওয়া যাবে। তবে সেটাই তিনি প্রথমবার বলেছিলেন। কিন্তু ওই অফিস রেজিস্টারটা তো আর ডিগ্রি হতে পারে না। যেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে দাবি করা হচ্ছে।
এদিকে কেজরিওয়াল আগের নির্দেশ ফের বিবেচনা করার জন্য আবেদন করেছিলেন। এদিকে চিফ ইনফরমেশন কমিশনের নির্দেশকে খারিজ করে দিয়েছিল গুজরাট হাইকোর্ট। আদালতের তরফে বলা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর অফিসের এই সংক্রান্ত ডিগ্রি বা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি দেখানোর কোনও দরকার নেই।