এবার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন কেরল সাইরো মালাবার গির্জার ধর্মযাজক জোসেফ কালারানগাট। তিনি মনে করেন, লাভ ও নারকোটিক জিহাদের মাধ্যমে অমুসলিম তরুণীদের টার্গেট করছে কট্টরপন্থীরা। এই অভিযোগ করার সঙ্গে সঙ্গে কেরল জুড়ে তা চর্চা শুরু হয়েছে। এমনকী তিনি বলেন, ‘হিন্দু ও খৃষ্টান মেয়েদের ‘লাভ জিহাদ’–এর মাধ্যমে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে ধর্মান্তরণ করা হচ্ছে। তাঁদের সন্ত্রাসবাদে ব্যবহার করছে কট্টরপন্থীরা। এমনকী নানা উপায়ে অন্য ধর্মকে ধ্বংসের চেষ্টা করা হচ্ছে। মাদকের নেশা ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে লাভ জিহাদ পরিবর্তিত হচ্ছে নারকোটিক জিহাদে।’
ঠিক কী বলেছেন তিনি? কেরলের কোট্টাম জেলার কুরুভিলাগাড়ুর গির্জার একটি অনুষ্ঠানে জোসেফ কালারানগাট বলেন, ‘ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে অস্ত্র হাতে নিয়ে যুদ্ধ করা সম্ভব নয়। সেটা ওরা বুঝেছে। তাই অমুসলিমদের নিশানা করতে নানা কৌশল নিয়েছে। জিহাদিরা আসলে মনে–প্রাণে অমুসলিমদের ধ্বংস চায়। তাই দুটি অস্ত্র ব্যবহার করছে—লাভ এবং মাদক জিহাদ।’
এদিন তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘ভালোবাসা বা অন্য পথে ভিন ধর্মের মেয়েদের ধর্মান্তরিত করছে জিহাদিরা। তাঁদের মগজধোলাই করে অভিভাবক, ধর্ম—সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। আর তাদের কাজে লাগানো হচ্ছে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে। এটা প্রেমের বিবাহ নয়। এটা যুদ্ধের কৌশল। আমরা লাভ জিহাদের বিরোধী।’
উল্লেখ্য, কেরলে এখন মাদক বিক্রি বেড়ে গিয়েছে। আর এটাই প্রমাণ করে দেয় নারকোটিক জিহাদ কতটা বেড়ে গিয়েছে। তাঁর দাবি, মাদক খাইয়ে অমুসলিম যুবকদের জীবন নষ্ট করা হচ্ছে। স্কুল, কলেজ, হস্টেল ও অফিসের সামনে আইসক্রিম পার্লার, সফট ড্রিঙ্কের দোকান খুলছে জিহাদিরা। খাবারে মাদক মিশিয়ে মাদকাসক্ত করা হচ্ছে খৃষ্টান মেয়েদের।’
তাঁর দাবি, ২০১৬ সালে কেরল থেকে ২১ জন আফগানিস্তান গিয়েছিল। তার মধ্যে পাঁচজন নিখোঁজ হয়ে যায়। তারপর জানা যায়, এই পাঁচজন খৃষ্টান ও হিন্দু থেকে ধর্মান্তরিত হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘রাজ্যের খৃষ্টান ও হিন্দু মেয়েদের ধর্মান্তকরণ করে আফগানিস্তানে জঙ্গি শিবিরে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা দরকার।’