কেরল কলামণ্ডলম ডিমড ইউনিভার্সিটির আচার্য সংক্রান্ত নিয়মের কিছু পরিমার্জন করল কেরল সরকার। রাজ্যপালকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের চেয়ার থেকে সরানোর জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে খবর। সাহিত্য- সংস্কৃতি জগতের কোনও বিশিষ্টজনকে ওই পদে বসানোর ব্যাপারে তোড়জোড় চলছে।
এদিকে ওয়েবসাইট অনুসারে দেখা যাচেছে বর্তমানে কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান এই বিশ্ববিদ্য়ালয়ের আচার্য। তবে পিনারাই বিজয়ন সরকার এবার তাঁকে সরানোর উদ্যোগ নিল আচার্যের পদ থেকে। আর সেই নিরিখে বদলানো হচ্ছে ডিমড বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম।
আসলে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কেরলে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত চরমে উঠছে মাঝেমধ্য়ে। কার্যত সেই নিরিখেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্যের পদ থেকে রাজ্যপালকে সরানোর ব্যাপারে তৎপরতা শুরু হয়েছে। কিন্তু কেন এই সংঘাত?
গত অগস্ট মাস থেকেই রাজ্য ও রাজ্য়পালের মধ্যে সংঘাত চরমে ওঠে। সরকার ১১টি অর্ডিন্যান্স রাজ্যপালের কাছে স্বাক্ষরের জন্য় পাঠিয়েছিল। কিন্তু সেখানে সই করতে চাননি রাজ্যপাল। এমনটাই সূত্রের খবর।
তবে পরবর্তী সময়ে ৯টিতে সই হলেও লোকায়ুক্ত ও বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত বিষয়গুলি তিনি ফেরৎ পাঠিয়ে দেন।
এদিকে ২২ অক্টোবর এপিজে আব্দুল কালাম টেকনিকাল ইউনিভার্সিসির উপাচার্য পদে এমএস রাজশ্রীর নিয়োগকে খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। কারণ এটি ইউজিসির নিয়ম মানাহয়নি। কারণ আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল ওই উপাচার্যের নিয়োগের ক্ষেত্রে ইউজিসির নিয়ম মেনে কোনও সার্চ কমিটি তৈরি করা হয়নি। সার্চ কমিটি নিয়োগ করে তিনজনের মধ্যে একজনকে ভিসি হিসাবে নিয়োগ করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু সেই নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছিল।