মানুষের কাটা হাত মুখে নিয়ে ঘুরে বেড়াল কুকুর। তার জেরে আতঙ্ক ছড়াল লখনউয়ের কেজিএমইউ ক্যাম্পাসে। জানা গিয়েছে, লখনউ কিং জর্জ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির ১০০ বছরের পুরনো হাসপাতাল ক্যাম্পাসে একটি কুকুর রোগীদের ভিড়ের মধ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছিল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে কিং জর্জ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির এই ছবিই। ছবিটি ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কেজিএমইউ কর্তৃপক্ষ অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে কেজিএমইউ কর্তৃপক্ষ তদন্তের নির্দেশও দিয়েছে ইতিমধ্যেই। বিষয়টি পুলিশকেও জানানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, কুকুরটিকে প্রথমে ট্রমা সেন্টারের পাশে সেন্টেনারি হাসপাতালের ব্লকের গেটের কাছে দেখা গিয়েছিল। নিজের চোখে এই ভয়াবহ দৃশ্যটি দেখেছেন, এমন একজন রোগী জানিয়েছেন, এটি ছিল একটি ভয়ঙ্কর দৃশ্য। কুকুরটি মুখের মধ্যে মানুষের হাত দিয়ে মূল পথে হেঁটে বেড়াচ্ছিল। প্রাথমিকভাবে, আমরা অঙ্গটি দেখতে পাইনি, তবে কুকুরটি কাছে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা অনেকেই হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম।
এদিকে, শুক্রবার ছবিটি ভাইরাল হওয়ার পরে, নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনকী বলা হচ্ছে, রোগীদের অঙ্গ কেটে ফেলার ক্ষেত্রে অবহেলার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে কেজিএমইউ প্রশাসন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে দিয়েছে।কেজিএমইউ-এর সিএমএস ডক্টর বি কে ওঝা জানিয়েছেন, এমন একটি ছবি তাঁর কাছেও পৌঁছেছে। যা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে পুলিশকেও জানানো হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত পুলিশের তদন্ত চলছে বলে জানা গিয়েছে।
কেজিএমইউ-এর সিএমএস অধ্যাপক বিকে ওঝার দাবি, কোনও রোগের কারণে রোগীর হাত বা পা কেটে ফেলা হলে সেই অঙ্গগুলো রোগীর পরিবারের সদস্যদের দেওয়া হয়। একটি ফর্মও পূরণ করা হয়।
গত বছরের ১০ মে এই কিং জর্জ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতেই কুকুরের আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন দুই চিকিৎসক ও এক কর্মচারী-সহ সাতজন। প্রাণ বাঁচাতে বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে জলাতঙ্কের টিকা নিতে হয়েছিল তাঁদের।