রামমন্দির উদ্বোধনের বাকি আর কয়েক ঘণ্টা। এর আগে বৃহস্পতিবার অযোধ্যা থেকে গ্রেফতার করা হয় তিন সন্দেহভাজন। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সন্ত্রাশ দমন শাখা সেই তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গিয়েছে। এই তিন ধৃতের সঙ্গেই খলিস্তানি যোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউতে বিগত কয়েকদিন ধরে এক খলিস্তানি নেতার ভিডিয়ো মেসেজ ঘুরছিল। সেই ভাইরাল অডিয়ো বার্তাটিতে খলিস্তানি জঙ্গি নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনের কণ্ঠস্বর রয়েছে বলে দাবি করা হয়। বার্তায় যোগী আদিত্যনাথকে উদ্দেশ্য করে পান্নুনকে বলতে শোনা গিয়েছে, ২২ জানুয়ারি যা ঘটতে চলেছে, তার জন্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকেই দায়ী করা হবে। এই অডিয়ো বার্তা ভাইরাল হতেই তৎপর হয়ে পড়ে পুলিশ। শুরু হয় তল্লাশি। চলতে থাকে তদন্ত। (আরও পড়ুন: মাইক্রোসফটের ওপর সাইবার হানা, রুশ সরকারের মদতেই হ্যাকিং, দাবি মার্কিন সংস্থার)
আরও পড়ুন: এবার কি ৫০০ টাকার নোটে থাকবে রামমন্দির এবং শ্রী রামের ছবি? সামনে এল সত্যিটা
এদিকে সেই অডিয়ো বার্তায় দাবি করা হয়, অযোধ্যায় 'শিখস ফর জাস্টিস' সংগঠনের দুই সদস্যকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এই আবহে পুলিশের সন্দেহ হয়, বৃহস্পতিতে ধৃত তিন ব্যক্তির খলিস্তানি যোগ থাকতে পারে। পরে তদন্তে সেই কথাই উঠে আসে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি (আইনশৃঙ্খলা) প্রশান্ত কুমার জানান, ধৃত তিনজনই রাজস্থানের বাসিন্দা। তাদের নাম - শংকর দুস্সাদ ওরফে শংকর জাজোড়, অজিত কুমার শর্মা এবং প্রদীপ পুনিয়া। এর মধ্যে শংকর এবং প্রদীপ হল সিকর জেলার বাসিন্দা এবং অজিত হল ঝুনঝুনু জেলার বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, পান্নুনের সঙ্গে শংকরের সরাসরি যোগাযোগ ছিল। কানাডায় বসবাসকারী অস্ত্র পাচারকারী লখবীর সিং সান্ধুর মাধ্যমে শংকর এবং পান্নুনের পরিচয় হয়।
আরও পড়ুন: 'ঐতিহাসিক ইস্যু...', LAC-তে সংঘর্ষের খবর সামনে আসতেই পুরনো রেকর্ড বাজাল চিন
জানা গিয়েছে, অযোধ্যার ত্রিমূর্তি হোটেলে গাড়ি তল্লাশি চলাকালীন গত বৃহস্পতিবার শংকরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার সঙ্গেই সেই সময় গাড়িতে ছিল প্রদীপ এবং অজিত। এদিকে শংকরের থএকে উদ্ধার হওয়া ফোনের সিমকার্ড অন্য ব্যক্তির নামে ছিল। এমনকী যে গাড়িতে করে তারা অযোধ্যায় এসেছিল, সেই গাড়ির রেজিস্ট্রেশনও ভুয়ো ছিল। জানা গিয়েছে, এর আগে ২০১৬ সাল থেকে ৭ বছর কারাবাসে ছিল শংকর। ২০২৩ সালের মে মাসে সে ছাড়া পেয়েছিল। জেলে থাকাকলীনই খলিস্তানি বিচ্ছিনতাবাদী সংগঠনের সঙ্গে যোগ সূত্র গড়ে তুলেছিল শংকর। এমনকী মৃত গ্যাংস্টার রাজেন্দর জাঠের সঙ্গেও শংকরের সম্পর্ক ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। রাজস্থানের বিভিন্ন শহরে ২০০৭ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে শংকরের নামে সাতটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কংগ্রেসের যুব নেতা রাম কিষাণ সুহাগের খুনের ঘটনায় জড়িত ছিল শংকর। এছাড়া বিকানের জেলে বলবীর সিং বুন্দার মৃত্যুতেও শংকরের হাত ছিল। এই পরিস্থিতিতে অযোধ্যায় গাড়ির নাকা চেকিং আরও জোরদার করেছে পুলিশ।