আগামী ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে এখানেই যে মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে যাচ্ছে এমনটা নয়। সব মিলিয়ে তিনতলা হবে মন্দিরটি। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্য়ে এই মন্দির তৈরির কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারপার্সন নৃপেন্দ্র মিশ্র জানিয়েছিলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্য়ে এই কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারপার্সন নৃপেন্দ্র মিশ্র জানিয়েছিলেন, এখনও পর্যন্ত কেবলমাত্র একতলা মন্দিরটি তৈরি করা হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় তলাটি ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্য়ে করা হবে।
শ্রী রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের উদ্যোগ রামমন্দিরের উদ্বোধনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। প্রায় ৭০০০ মানুষকে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বহু বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত থাকবেন সেই অনুষ্ঠানে।
এই রামমন্দির নির্মাণ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, প্রতিদিনই নতুন নতুন করে চ্যালেঞ্জ সামনে আসছে। কিন্তু আমাদের মনে হচ্ছে, এই চ্যালেঞ্জ আপনা থেকেই কেটে যাবে। পরের দিন সকালেই দেখব সব ঠিক হয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, ট্রাস্টের জেনারেল সেক্রেটারি নির্দেশ দিয়েছেন, মর্যাদা পুরুষোত্তম রামচন্দ্রের আদর্শ ক্ষুন্ন হয় এমন একটা কাজও করা হবে না।
তিনি জানিয়েছেন, সব কিছু বলে দেওয়া হয়েছে। সরকারকে কোথায় কর দেওয়া হবে সবটা করতে হবে। সেই সঙ্গেই বলা হয়েছে, ভক্তরা এই মন্দির দেখে অত্য়ন্ত খুশি হবেন। এখানে যে মানের কাজ হয়েছে তা দেখে খুশি হবেন ভক্তরা।
তিনি জানিয়েছেন, অন্তত আরও ১০০০ বছর স্থায়ী হবে এই রামচন্দ্রের মন্দির। সেকারণে এই মন্দির তৈরির ক্ষেত্রে দায়িত্ব আরও বাড়ছে।
এদিকে এবার প্রশ্ন রামমন্দিরের দরজা ভক্তদের জন্য় খুলে দেওয়ার পর দৈনিক কত মানুষ রামলালা দর্শনের জন্য় আসতে পারেন? সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমার ধারণা আগামী ৪-৫ মাস রোজ ৭৫,০০০ থেকে ১ লাখ মানুষ এই মন্দির দর্শনে আসবেন।
এদিকে রামমন্দির উদ্বোধনের দিন, রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার আগে থেকেই দিল্লির নিজাম উদ্দিন আউলিয়া দরগা ও জামা মসজিদের মোমবাতি জ্বালানোর পরিকল্পনা নিচ্ছে বিজেপির সংখ্য়ালঘু মোর্চা। অন্তত ৩৬টি দরগাতে তাঁরা মোমবাতি জ্বালাবেন। দিল্লির একাধিক বিখ্যাত মসজিদে মোমবাতি জ্বালাবেন তাঁরা। সেই সঙ্গে কুতুব মিনারেও মোমবাতি জ্বালাবেন তাঁরা। ১২ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁরা এই কর্মসূচি পালন করবেন বলে ঠিক করেছেন।