শুক্রবার ত্রিপুরা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভানেত্রী সোলাঙ্কি সেনগুপ্ত আক্রান্ত হন। তাঁর অভিযোগ, পরীক্ষা দিতে কলেজে গিয়ে হেনস্থার শিকার হন তিনি। অভিযোগের তির রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংস্থার সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের দিকে। আগরতলায় মহারাজা বীর বিক্রম কলেজে পড়েন আক্রান্ত ছাত্রনেতা। এই হামলার পরই তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়, দলের কর্মীদের ওপর এই হামলার পর ত্রিপুরা গিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন এবং রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁরা সেখানে গিয়ে আক্রান্ত কর্মীদের পাশে দাঁড়াবেন।
ঘটনার প্রেক্ষিতে তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, ছাত্র নেত্রীকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে এবিভিপির কর্মীদের তরফে। মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর দু’টি মোবাইলই কেড়ে নেন এবিভিপির সদস্যরা। সোলাঙ্কিকে নাকি তারপর একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। এই খবর পেয়ে তাঁর মা ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করতে যান। তাঁকেও হেনস্থারশিকার হতে হয় বলে অভিযোগ।
এদিকে এই ঘটনার পর পুলিশের সাহায্য চাওয়া হলে ঘটনাস্থলে আসে আগরতলা পূর্ব থানার পুলিশ। সেখানে পুলিশের সামনেই বিজেপি যুব মোর্চা এবং এবিভিপির ছাত্ররা তাঁদের আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আশিস লাল সিং।
উল্লেখ্য, শনিবার টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবস। সেই প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের তোড়জোড় শুরু করতেই এবিভিপির সদস্যরা তাঁকে পিটিয়েছেন বলে অভিযোগ সোলাঙ্কির। পূর্ব আগরতলা পুলিশ স্টেশনের ওসি পারমিতা সাহা বলেন, 'তিনচারজন এবিভিপি সমর্থক ওই নেত্রীকে কমন রুমে আটকে রেখেছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি। অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।'