লাদাখের তুরটুক সেক্টরে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হাড়িয়েছিলেন সেনার ৭ জন জওয়ান। ঘটনায় আহত হয়েছিলেন আরও ১৯ জন। সেই আহত জওয়ানদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে আপডেট দিল সেনা। সেনার তরফে জানিয়ে দেওয়া হল যে আহত জওয়ানদের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল রয়েছে। সেনার ওয়েস্টার্ন কমান্ড এই নিয়ে একটি টুইট করে লেখে, ‘পারতাপুরের কাছে একটি বাস দুর্ঘটনায় আহত পশ্চিমী কমান্ডের ১৯ জন সৈন্যককে এয়ারলিফ্ট করা হয়েছিল এবং চণ্ডীগড়ের গ্রিন করিডোরের মাধ্যমে কমান্ড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। দ্রুত অস্ত্রোপচার পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে এবং বর্তমানে সব স্থিতিশীল।’
জানা গিয়েছে, দুই দিন আগে আর্মি জওয়ানকে নিয়ে সেনার গাড়িটি যাচ্ছিল তুরটুক সেক্টরে। পারতাপুর ট্রানসিট ক্যাম্প থেকে লেহ জেলার তুরটুকের দিকে যাচ্ছিল বাসটি। সেই সময় সেনার ওই বাসটি পিছলে গিয়ে প্রায় ৬০ ফুট নীচে নদীতে গিয়ে পড়ে। সৈন্যদের প্রাথমিকভাবে পারতারপুরের ৪০৩ ফিল্ড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় এবং পরে চণ্ডীগড়ের ওয়েস্টার্ন কমান্ড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। দেশের সেনাবাহিনীর অন্যতম সেরা চিকিৎসা সুবিধা মেলে এখানে।
এদিকে সেনার তরফে জানানো হয়, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, চালকের অবহেলার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। এদিকে লাদাখের তুরতুক সেক্টরের নুবরায় বাস দুর্ঘটনায় শহিদ সেনা জওয়ানদের মধ্যে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের এক যুবকও। শহিদ জাওয়ানদের মধ্যে রয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খরগপুর টাউন থানার অন্তর্গত বারবেটিয়া এলাকার বাসিন্দা বাপ্পা খুটিয়া। এর আগে গত মাসে কাশ্মীরের সোপিয়ানে সেনার একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়েছিল। তার জেরে তিনজন সেনার মৃত্যু হয়েছিল। পাঁচজন আহত হয়েছিলেন সেই দুর্ঘটনায়।