রাহুল সিং
ফাইটার অপারেশনের জন্য পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছেই একটি এয়ারফিল্ডের পরিকাঠামোগত উন্নতি করতে চাইছে সরকার। মূলত ভবিষ্যতে চিন যদি এখানে কোনও রকম সমস্যা তৈরির চেষ্টা করে তবে তা তৎক্ষণাৎ রুখে দেওয়ার জন্য় উন্নত করা হবে এই এয়ারফিল্ড। আর সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল মহিলা অফিসাররা এই এয়ারফিল্ডের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকবেন।
২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্য়ে এই এয়ারফিল্ডের কাজ শেষ করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। নিয়োমা এলাকায় এই এয়ারফিল্ড তৈরি করা হবে। সেই সঙ্গেই লাদাখের ডেমচক সেক্টরেও একেবারে উচ্চ অক্ষাংশে রাস্তা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটা বিশ্বের উচ্চতম এলাকায় গাড়ি চলাচলকারী রাস্তা হিসাবে গণ্য করা হবে।
মহিলা অফিসাররা এই এয়ারফিল্ড তৈরির তত্ত্ববধান করবেন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছেই এই এয়ারফিল্ড তৈরি করা হবে। মূলত বহিঃশত্রুর আক্রমণ ঠেকাতেই এই বিরাট কর্মযজ্ঞ।
এজন্য় বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের আওতায় টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হয়েছে। সেখানে মূল দায়িত্বে রয়েছেন কর্নেল পোনুং ডোমিং। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন পাঁচজন মহিলা ইঞ্জিনিয়ার। মূলত বর্তমানে যে এয়ারস্ট্রিপটি এখানে রয়েছে সেটাকে আরও বেশি করে সম্প্রসারিত ও শক্তপোক্ত করা হবে। এখানে যাতে যুদ্ধবিমান যথাযথভাবে ওঠানামা করতে পারে সেকারণে এই উদ্যোগ।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৩,৩০০ ফুট উচ্চতায় এই এয়ারফিল্ড। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে এর দূরত্ব প্রায় ২৩ কিমি। সেই নিয়োমা এয়ারফিল্ডটি এবার আরও উন্নত করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে ২১৪ কোটি টাকার প্রজেক্ট। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এই এয়ারফিল্ড সংস্কারের শিলান্যাস করেছিলেন। তবে মোটামুটি আশা করা যাচ্ছে আগামী ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ এই প্রকল্পটি শেষ করা হবে।
সেই ১৯৬২ সালে ভারত-চিন যুদ্ধের সময় এই এয়ারস্ট্রিপটি ব্যবহার করা হয়েছিল। তারপর থেকে কার্যত পড়েছিল এটি। এরপর ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে AN-32 ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট এখানে নামানো হয়েছিল। সেবারই প্রথমবার এই ধরনের বিমান নামানো হয় এখানে। এরপর একাধিক সেনার বিমান নেমেছে এখানে। তবে শুধু এখানেই নয়, কর্নেল ডোমিংয়ের ইউনিট লাদাখের রাস্তা তৈরির ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা নিয়েছে। কার্যত লেডি অফিসারদের উপর বিরাট কাজের দায়িত্ব দিল প্রতিরক্ষা দফতর। এটা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।