গুণ্ডাগিরি ঘিরে এক ঘটনার অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিহারে। যে ঘটনা বিহারের রাজনীতিতেও বেশ খানিকটা দোলাচল তৈরি করেছে। ঘটনা বিহারের ধোবিনগর পঞ্চায়েতের। সেখানের এক এক্সিকিউটিভ অফিসার অরবিন্দ কুমার সিংকে তাঁর গাড়ি থেকে নামিয়ে তাঁকে রাস্তায় ব্যাপক মারধর করার অভিযোগ রয়েছে তনুজ যাদব ও কয়েকজনের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, তনুজ সম্পর্কে আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদবের ভাইপোর ছেলে। তনুজ সম্পর্কে লালুপ্রসাদ যাদবের নাতি।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ওই অফিসার অরবিন্দ কুমার বিহারের শহরাঞ্চল উন্নয়ন ও গৃহ নির্মাণ সম্পর্কিত মন্ত্রকের অধীনে অফিসার। এই মন্ত্রকের মন্ত্রী আবার বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। লালু যাদবের পুত্র তেজস্বীর দফতরের অফিসারকে লালু যাদবের দূর সম্পর্কের নাতি তনুজের মারধর করার অভিযোগ রয়েছে। জানা গিয়েছে, ঘটনা মঙ্গলবার রাত ৯.২০ মিনিটের। সেদিন বিহারের গোলা রোডে একটি বৈঠক সেরে বাড়ি ফিরছিলেন অরবিন্দ কুমার। তিনি বাড়ি ফেরার সময়ই ওই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, অফিসারের গাড়ি মাঝ রাস্তায় দাঁড় করান, তনুজ ও নয়ন যাদব। গাড়ি জোর করিয়ে দাঁড় করানোর পর সেখান থেকে অরবিন্দ কুমারকে হিঁচড়ে নামানো হয়। তারপর টানা ২০ মিনিট ধরে নির্মমভাবে সরকারি অফসার অরবিন্দ কুমারকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মারধর এতটাই ছিল যে মুখ ফেটে রক্ত পড়তে থাকে সরকারি অফিসারের। মারের চোটে তিনি আহত হয়ে অচৈতন্য হয়ে পড়েন। এদিকে, অরবিন্দ কুমার সিংয়ের আত্মীয় বলছেন,'স্থানীয় লোকজন এবং বন্ধুদের সহায়তায় আমরা তাকে দ্রুত পারস হাসপাতালে নিয়ে যাই, যেখানে ডাক্তার চিকিৎসা করে তাঁকে নয়াদিল্লির উচ্চ কেন্দ্রে রেফার করে।' ঘটনার রেশ রাজনৈতিকভাবে বিহারে দোলাচল তৈরি করতে পারে বলে মনে করছে একটা অংশ।
অফিসারের পরিবারের দাবি, অরবিন্দের বাঁ চোখে বড় আঘাত লেগেছে। তাঁর মাথাতেও ব্যাপক চোট লেগেছে। অরবিন্দ কুমারের আত্মীয় বলছেন, ‘বুধবার দুপুরের পর থেকে, আমার ভাই ভেন্টিলেটরে আছেন এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায়নি বলে আমরা তাঁকে রাজধানী এক্সপ্রেস মেডিকেল অ্যাম্বুলেন্সে নয়াদিল্লিতে নিয়ে যাই।’ এরই সঙ্গে অরবিন্দের আত্মীয় জানান, ‘ট্রেন অ্যাম্বুলেন্সে সিংয়ের সাথে থাকা একজন ডাক্তার বলেছিলেন যে মুখের বেশিরভাগ হাড় ভেঙে গেছে, মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধা এবং মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে।’