পাকিস্তানের বুকে জঙ্গি শিবির জইশ অল আদলকে টার্গেটে রেখে ইরানের হামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাল্টা হামলার রাস্তায় নামল পাকিস্তান। এদিন ইরানে বালুচ জঙ্গি শিবিরকে টার্গেট করে পাল্টা এয়ারস্ট্রাইক চালিয়েছে পাকিস্তান। এমনই দাবি করা হয়েছে বেশ কিছু মিডিয়া রিপোর্টে।
ইরানে বালুচ বিচ্ছিন্নতাবাদী ও জঙ্গি শিবিরের যে সদস্যরা গা ঢাকা দিয়েছে রয়েছে, সেই সমস্ত জায়গায় এবার পাকিস্তান চালাল এয়ারস্ট্রাইক। এর আগের দিনই পাকিস্তানের বুকে জঙ্গি শিবির জইশ অল আদলকে নিশানা করে হামলা চালায় ইরান। যা ভালোভাবে নেয়নি ইসলামাবাদ। ইসলামাবাদ বলেছে, ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনার বহু রাস্তা খোলা ছিল, সেই পথেই এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারব এই ‘অবৈধ’ উপায়টির বলে।জানা যাচ্ছে, এই গোটা হামলার নেপথ্যে যে জঙ্গি শিবিরের নাম উঠে আসছে, তা হল জইশ অল আদল। এই জঙ্গি শিবির মূলত, ইরানের দক্ষিণ পূর্ব প্রান্তে ঘাঁটি গেড়েছে। তাদের একটি অংশের ঘাঁটি রয়েছে পাকিস্তানেও। মূলত, ইরান-পাক সীমান্তে এই সংগঠনের দাপট দেখা যায়। আর তাকে শেষ করতেই উদ্যত হয়েছে ইরান। সেই লক্ষ্যেই পাকিস্তানের বুকে এই জঙ্গি শিবিরকে খতম করতে বুধবার ইরান হামলা চালায়। এর আগে সদ্য, ইরানের সফরে গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তারপরই ইরান সিরিয়া ও ইরাকে ইরান-বিরোধী বহু সংগঠনের ঘাঁটি গুড়িয়ে দেওয়ার পরই পাকিস্তানে ইরান বিরোধী ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়। জানা যায়, জইশ অল আদল, মূলত, ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পসের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ। গোষ্ঠীর দাবি, এই কর্পস ইরানের সুন্নি মুসলিমদের উপর অকথ্য অপরাধ ও অত্যাচার চালিয়েছে। আর তার জেরেই বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যলাপ জইশ-অল আদলের, বলে জঙ্গি সংগঠনটির দাবি।
এদিকে, পশ্চিম এশিয়ায় প্রথমে পাকিস্তানের বুকে ইরানের হামলা ও পরে ইরানের বুকে পাকিস্তানের হামলার ফলে স্বভাবতই উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। যেখানে দুই দেশেরই দাবি তারা জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে উদ্যত। এদিকে, এই ঘটনার জেরে দুই দেশের সম্পর্কের কূটনৈতিক অবস্থানেও নজর রয়েছে বিভিন্ন মহলের। এদিকে, পাকিস্তানের দাবি, ইরানের বুধবারের হামলায় পাকিস্তানে ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এরপর বৃহস্পতিবার পাকিস্তান যে এয়ারস্ট্রাইক চালিয়েছে ইরানের বালুচ জঙ্গি ঘাঁটিতে সেখানে পাকিস্তানের বহু মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গিকে নিকেশ করেছে তারা বলে দাবি করা হচ্ছে।