মহারাষ্ট্র সদ্য দেখেছে এনসিপিতে শরদ পাওয়ারের ক্যাম্পের ছায়া থেকে অজিত পাওয়ার বেরিয়ে এসে এনডিএতে যোগ দেন। শুধু তাই নয়, মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী পদে যোগ দেন অজিত। সেই ছবি কি বাংলার প্রতিবেশী রাজ্য বিহারে দেখা যাবে? বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেই বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদব জানিয়েছেন, বিহারে এমন পরিস্থিতি হবে না।
উল্লেখ্য, সদ্য এনসিপিতে বড় ভাঙন ধরিয়ে পার্টির একাধিক বিধায়ককে নিয়ে এনডিএর সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিয়েছেন মারাঠা স্ট্রংম্যান শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত। এর কিছুদিন আগে, দলের দায়ভার মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে ও ঘনিষ্ঠ প্রফুল্ল প্যাটেলের ওপরই কার্যত যেতে চলেছে এমন ইঙ্গিত দিয়ে, শরদ তাঁদের কার্যকরী সভাপতির পদে উন্নিত করেন। তবে সেই পদ থেকে ব্রাত্য ছিলেন পাওয়ার পরিবারের অজিত। এরপরই দেখা যায়, প্রফুল্লকে সঙ্গে নিয়ে তিনি যোগ দিয়েছেন এনডিএ ক্যাম্পে। এই পরিস্থিতি কি বিহারে নীতীশ-তেজস্বীর জোট সরকারে দেখা যাবে? কী বলছেন এই নিয়ে তেজস্বীর বাবা তথা আরজেডির প্রধান লালু প্রসাদ যাদব? লালু প্রসাদ যাদব সদ্য নীতীশ কুমারকে নিয়ে লেখা একটি বইয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আজ দেশ ভেঙে পড়ার হুমকির মুখে পড়েছে এবং সংবিধানকে ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি সবাইকে দুর্নীতিবাজ বলেন, কিন্তু তাঁর চেয়ে দুর্নীতিবাজ কে হতে পারে।’ বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু মোদীকে টার্গেট করে বলেন, ‘আপনারা সবাই নিশ্চয়ই আদানি এবং অন্যান্য পর্ব, বিধায়ক কেনা ইত্যাদির কথা শুনেছেন। তিনি রাম ও রহিমের অনুসারীদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করছেন। দেশের বুনন এখন হুমকির মুখে।’
সোচ্চার কণ্ঠে বিজেপি বিরোধী সুর চড়িয়ে লালু প্রসাদ যাদব বলেন,'নরেন্দ্র মোদীর পতনের শুরু হয়ে গিয়েছে।' লালু বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদী সংরক্ষণের বিরোধী। এখন শুনছি বিহারে মহারাষ্ট্রের পুনরাবৃত্তির চেষ্টা হচ্ছে, কিন্তু হবে না। এখানে সবাই ঐক্যবদ্ধ। বিহার নড়ছে না। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে মোদী সরকারকে উৎখাত করতে কাজ করব।’ এককালে বিহারের রাজনীতিতে দুই মেরুতে থাকা লালু ও নীতীশ কুমার শিবির বর্তমান রাজনীতিতে জোট সরকারের মধ্যে। সেই নীতীশ কুমার সম্পর্কে একটি বই প্রকাশ করতে গিয়ে লালু প্রসাদ বলেন, ‘নীতীশ কুমার নম্র প্রেক্ষাপট থেকে উঠে এসেছেন। তাঁর বাবা ছিলেন গ্রামের ডাক্তার। লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে বড় হয়েছেন। এটা একটা কাকতালীয় ব্যাপার যে আমি যখন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলাম, ঠিক সেই সময়েই নীতীশ কুমার কেন্দ্রে মন্ত্রী হয়েছিলেন।’