লোকসভা ভোটের আগে চাপে পড়লেন আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদব। বিগত কয়েক মাস ধরেই 'রেলের চাকরির বদলে জমি' কেলেঙ্কারি মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থার নজরে রয়েছেন লালু ও তাঁর পরিবার। সেই মামলায় মঙ্গলবার চার্জশিট পেশ করে ইডি। সেই চার্জশিটে নাম রয়েছে লালু পত্নী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়িদেবীর। সঙ্গে নাম রয়েছে লালুর দুই কন্যা মিসা ভারতী এবং হেমা যাদবের। এর মধ্যে মিসা আবার রাজ্যসভার সদস্য। এদিকে যাদব পরিবারের ওপর ওঠা সব অভিযোগই খণ্ডন করেছে আরজেডি। তাঁদের পালটা অভিযোগ, লোকসভা ভোটর আগে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকার লালু প্রসাদকে হেনস্থা করছে। (আরও পড়ুন: 'নিজের ছেলেকে খুন করে…', AI সংস্থার CEO সূচনাকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি পুলিশের)
আরও পড়ুন: শীঘ্রই ডাক্তারি পড়াশোনার সুযোগ বাড়বে কয়েকগুণ, বড় ঘোষণা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
এদিকে মঙ্গলবার দিল্লির পিএমএলএ আদালতে ৪৭০০ পাতার যে চার্জশিট ইডি পেশ করেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি হবে আগামী ১৬ জানুয়ারি। চার্জশিটে ইডির অভিযোগ, রেলে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের থেকে বেআইনি ভাবে জমি নিয়ে তা চার দফায় মেরিডিয়ান কনস্ট্রাকশন ইন্ডিয়া লিমিটেড নামক সংস্থাকে বিক্রি করেছেন রাবড়িদেবী এবং হেমা যাদব। এই মেরিডিয়ান নামক নির্মাণ সংস্থার সঙ্গে আবার যোগ রয়েছে প্রাক্তন আরজেডি বিধায়ক সৈয়দ আবু দোজানার।
আরও পড়ুন: মাঝ আকাশে উড়েছিল বিমানের অংশ, USA-তে বসিয়ে দেওয়া হল সব বোয়িং ৭৩৭-৯ ম্যাক্সকে
এই মামলায় অভিযোগ, লালু প্রসাদ যাদব যখন ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন জমির বিনিময়ে গ্রুপ-ডি পদের ‘সাবস্টিটিউট’ হিসাবে বেশ কয়েকজনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। পরে তাঁদের চাকরি স্থায়ী করা হয়। এর প্রেক্ষিতে সিবিআই-এর তরফে মামলা করা হয়েছে লালু, রাবড়ি দেবী, লালুর দুই কন্যা এবং আরও ১২ জনের নামে। ২০২২ সালের ১৮ মে এই বিষয়ে একটি এফআইআর করা হয়েছিল। এরপর ২০২২ সালেরই ২২ অক্টোবর এই দুর্নীতি মামলায় লালুপ্রসাদ যাদব ও রাবড়িদেবীর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। লালু ও রাবড়ি ছাড়াও ১২ জনের নাম ছিল চার্জশিটে।
এই আবহে গতবছর হোলির আগে পরপর দু'দিন আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ এবং তাঁর স্ত্রীকে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে জেরা করেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। এর আগে ২০২২ সালের মে ও অগস্ট মাসে লালু-পুত্র তথা বিহারের বর্তমান উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের মালিকানাধীন গুরুগ্রামের একটি নির্মাণাধীন মল সহ দিল্লি, গুরুগ্রাম, পটনা, কাটিহার এবং মধুবনি সহ মোট ২৫টি স্থানে অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। এরপর ২০২৩ সালের মার্চ মাসে দিল্লি, রাঁচি, মুম্বই, পটনা সহ মোট ২৪টি স্থানে অভিযান চালিয়েছিল ইডি। সেই অভিযানে মোট ৭০ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার হয়। এছাড়া তাছাড়া ৯০০ মার্কিন ডলারও উদ্ধার হয়। সেই সঙ্গে দেড় কেজি সোনার গয়না এবং ৫৪০ গ্রাম সোনার কয়েন উদ্ধার হয়।