নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবার কঠোরতম পদক্ষেপ নিল বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ড সরকার। প্রশ্নপত্র ফাঁস বা নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনা প্রমাণিত হলে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে অথবা তাকে ১০ বছরের জন্য জেলে কাটাতে হবে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি শুক্রবার সরাসরি একথা জানিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, যুব সম্প্রদায়ের স্বপ্ন নিয়ে যারা ছেলে খেলা করবে তাদের সঙ্গে কোনও আপোস নয়। নিয়োগ দুর্নীতির কথা প্রমাণিত হলে হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ১০ বছরের জেল হবে। তার সঙ্গেই তার সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হবে। একটি সংস্কৃতি উৎসবে অংশ নিয়ে তিনি একথা জানিয়েছেন।
উত্তরাখণ্ডের গভর্নর লেফটেনান্ট জেনারেল( অবসরপ্রাপ্ত) গুরমিত সিং শুক্রবার উত্তরাখণ্ড কম্পিটিটিভ এক্সামিনেশন অর্ডিন্যান্স সই করেছেন। সেটাকে অ্যান্টি কপিং অর্ডিন্যান্স হিসাবেও উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে আগেই উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রাজ্যপালের সম্মতির পরে এই অর্ডিন্য়ান্সকে আইনে পরিণত করা হবে।
এদিকে বেরোজগার সঙ্ঘের তরফে সম্প্রতি দেরহাদুনের রাজপুর রোডের ধারে একটি ধরনা অবস্থানের আয়োজন করেছিলেন। তাদের দাবি, নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়মের ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্তের ব্যবস্থা করতে হবে।
এদিকে এই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের উপর পালটা চড়়াও হয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। অভিযোগ এমনটাই। বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশের দাবি, বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে নিশানা করে পাথর ছুঁড়েছিল। তাদের গাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়।
পুলিশ সংগঠনের সভাপতি সহ ১৩জনকে গ্রেফতার করে। সব মিলিয়ে সেদিন ১৫ জন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। পাথরের আঘাতে আহত হয়েছিলেন তারা।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কাউকে রেয়াত করা হবে না।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই বাংলার সঙ্গে অনেকেই তুলনা টানছেন। অনেকেই বলছেন বাংলাতেও নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে। দিনের পর দিন ধরে চাকরি প্রার্থীরা রাস্তার পাশে অবস্থানে বসে রয়েছেন। সিবিআই তদন্তও চলছে। শিক্ষা দফতরের একাধিক কর্তা, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সহ অনেকেই জেলের ভেতরে। কিন্তু তারপরেও কি কড়া হতে পেরেছে সরকার?
এদিকে অনেকের মতে, বাংলায় সিবিআই তদন্তের আগে সরকার যদি আরও কড়া হত তবে এই পরিস্থিতি তৈরি হত না। কিন্তু বার বারই অভিযোগ উঠেছে সরকার কড়া হওয়ার তুলনায় সরকার ঘনিষ্ঠ অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করছে। যার ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ চাকরিপ্রার্থীদের।