একেই বলে বাজিমাত। ২৮ বছর বয়সী ব্যক্তি লটারিতে বাজি ধরে জিতে নিয়েছেন ৬৮০-মিলিয়ন-ইউয়ান (৯৬ মিলিয়ন ডলার), ভারতীয় টাকায় যার মূল্য ৭৯৬ কোটি ৪০ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট (এসসিএমপি) অনুসারে, এটি দেশের সবচেয়ে বড় লটারি জ্যাকপট। যদিও লটারি বিজয়ীর নাম প্রকাশ করা হয়নি, তবুও জানা গিয়েছে যে তিনি দক্ষিণ-পশ্চিম চিনের গুইঝো প্রদেশে একটি ছোটখাটো ব্যবসার মালিক।
- কীভাবে এত টাকার লটারি জিতলেন ব্যক্তি
আউটলেট অনুসারে জানা গিয়েছে, ২৮ সেন্ট দিয়ে ১৩৩ টি টিকিট কিনে ছিলেন তিনি এবং প্রতিবার সাত নম্বরের একই গ্রুপে বাজি ধরেছিলেন। ওই ব্যক্তির প্রতিটি টিকিট ৭২৫,০০০ মার্কিন ডলারের এর পুরস্কার জিতেছে। ফেব্রুয়ারী ৭ তারিখে পুরষ্কার নিয়েছেন ব্যক্তি। মোট পুরস্কারের অর্থের মধ্যে, ব্যক্তিগত আয়কর আইনের নিয়ম অনুযায়ী তাঁর লটারির আয়ের এক-পঞ্চমাংশ ট্যাক্সে দিতে হবে। উল্লেখযোগ্যভাবে, লটারি কেটে ওই ব্যক্তির ৯৬ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পুরষ্কারের রেকর্ড চিনের ৮০ মিলিয়ন ডলারের আগের রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছে, যা ২০১২ সালে বেইজিং-এ বসবাসকারী একজন ব্যক্তি জিতেছিলেন।
এসসিএমপির জানিয়েছে, এত টাকার লটারি জেতার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ওই ব্যক্তি বলেছিলেন যে রাতে তাঁর মোবাইল ফোনে এই বিশাল জয়ের বিষয়ে একটি বার্তা পেয়েছিলেন তিনি। তাঁর কথায়, 'প্রথমে আমি এটা বিশ্বাস করিনি, তাই আমি এটি বেশ কয়েকবার যাচাই করেছি। আমি ঘুমাতে পারছিলাম না।' এরপর পরের দিন সকালে নিজের পুরস্কারের চেক নিতে গুইঝো প্রদেশের রাজধানী গুইয়াং-এ চলে গিয়েছিলেন যদিও। ওই লটারি বিজেতা আরও জানিয়েছেন যে তাঁর পরিবার তাঁর এই বিরাট জয়ের কথা শুনলে খুশি হবে।
এদিকে, গত বছর ডিসেম্বরে, চিনের ব্যক্তি, ৩০ মিলিয়ন ডলারের (২৪৮ কোটি টাকার) লটারি জিতেছিলেন, তিনি কিন্তু নিজের স্ত্রী বা সন্তানদের তাঁর এই বড় জয়ের কথা বলতে অস্বীকার করেছিলেন। বলেছিলেন, 'আমি আমার স্ত্রী বা বাচ্চাকে বলিনি। আমার মনে হয় যে এটি বললে তারা অন্য লোকেদের থেকে নিজেকে বেশি বলে মনে করতে পারে এবং ভবিষ্যতে কঠোর পরিশ্রম বা পড়াশুনা কিছুই করবে না।' গুয়াংজি ঝুয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের লি নামের ওই ব্যক্তি ৮০ ইউয়ান (১১ মার্কিন ডলার) দিয়ে ৪০ টি লটারির টিকিট কিনেছিলেন যার প্রতিটি টিকিটে একই সাত নম্বর ছিল। এরপর ওই সাতটি সংখ্যা মিলে গিয়েই তিনি গ্র্যান্ড প্রাইজ জিতেছিলেন গত বছরের ২৪ অক্টোবর। জানা গিয়েছে, পুরস্কারটি জেতার পর তিনি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে ৫ মিলিয়ন ইউয়ান দান করেছিলেন।