এলাকায় কার্যত ত্রাস ছিল এই হনুমান। সেই ‘মোস্ট ওয়ান্টেড হনুমানকে’ শেষমেশ পাকড়াও করল মধ্যপ্রদেশের স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকাবাসী। গত ২ সপ্তাহ ধরে এই হনুমান কার্যত এলাকায় আতঙ্কেপ প্রহর এনে দেয়। ২০ জনের ওপর হামলা চালিয়েছে ওই হনুমান। বিপাক বাড়তেই হনুমান পাকড়াও করতে পারলে ২১ হাজারের পুরস্কার মূল্য ঘোষণা করেছিল প্রশাসন। শেষমেশ বুধবার তা ধরা পড়ে।
টিম তৈরি হয়েছিল, স্থানীয় প্রশাসন, স্থানীয় বাসিন্দাদের একজোট করে। এলাকায় আগ্রাসী ওই হনুমান ছোটাছুটি করতে শুরু করেছিল। ততক্ষণে হনুমানের গতিবিধি দেখতে একটি ড্রোন মোতায়েন করা হয়। তারপর হনুমানের লোকেশন দেখে তাকে অজ্ঞান করার ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। এলাকার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড হনুমান’ সামান্য ঝিমিয়ে পড়তেই তাকে খাঁচা বন্দি করে প্রশাসন। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন এলাকাবাসী।
গত ২ সপ্তাহ ধরে টানা ২০ জনের ওপর হামলা চালাতে শুরু করেছিল ওই হনুমান। আহতদের মধ্যে ছিল ৮ টি শিশু। এলাকাবাসীদের বক্তব্য, কখনও ছাদে, কখনও জানলার কাছে এসে যাচ্ছিল ওই হনুমান। অনেকেই আন্দাজও করতে পারছিলেন না, যে কোথা থেকে ওই হনুমান আসছে। আর কিছু বোঝার আগেই লোকজনের গায়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁদের ওপর হামলা চালাতে থাকে সে। হনুমানের আক্রমণে গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন অনেকে। বহু আক্রান্তকে পর পর স্টিচ নিতে হয়েছে। শেষমেশ এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে ওই হনুমানের কাণ্ড ধরা পড়ে। সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায়, এক বৃদ্ধকে আহত করে তাঁকে হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে হনুমান। ওই সামান্য সময়েই বৃদ্ধের পা ক্ষতবিক্ষত করে দেয় হনুমান। শেষমেশ বহু পরিশ্রমের পর ওই হনুমান আসে বাগে। শেষমেশ সে ধরা পড়ে। জানা যাচ্ছে, ওই হনুমানকে ধরতে ৪ ঘণ্টা সময় লেগেছে।