একটি অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে টানা ৪ বারের কংগ্রেস বিধায়ককে নিজের দলে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানালেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। কংগ্রেস বিধায়ক ওমকার সিং মারকামকে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টিতে (বিজেপি) যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানান। এ নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে মধ্যপ্রদেশের রাজ্য রাজনীতিতে। যদিও তখনই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন কংগ্রেস বিধায়ক।
আরও পড়ুন: আজান কিংবা কীর্তন! ধর্মীয় স্থানে তারস্বরে মাইক নয়,চেয়ারে বসেই নির্দেশ সিএমের
জবলপুরে একটি অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দলের জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখার জন্য মঞ্চে পৌঁছন। তিনি সেখানে উপস্থিত সমস্ত বিধায়ক ও সাংসদদের স্বাগত জানাতে শুরু করেন। কংগ্রেস বিধায়কের নাম আসার সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, ‘ওমকার সিং মারকাম জি কোথায়?’ মারকাম তখন উঠে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ব্যঙ্গাত্মক সুরে বলেন, ‘ওমকার জি আপনি ভুল জায়গায় বসে আছেন। দয়া করে আমাদের সঙ্গে আসুন।’ যদিও সেই সময় কংগ্রেস বিধায়ক কিছু না বলে শুধু হাসেন। তবে অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর কংগ্রেস বিধায়ককে মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি শুধু বলব মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যপ্রদেশের উন্নয়নে মনোনিবেশ করা উচিত এবং আমাকে নিয়ে চিন্তা না করার প্রয়োজন নেই।’
প্রদেশের রাজনীতিতে বিধায়ক ওমকারের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। তিনি একজন বিশিষ্ট আদিবাসী নেতা হিসেবে পরিচিত। তাছাড়া ডিন্ডোরির ৪ বারের বিধায়ক হলেন ওমকার। ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি বিজেপির পঙ্কজ সিং টেকমকে ৯২,৯৬২ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছিলেন। সেক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই তাঁর জনপ্রিয়তা অনুমান করা যাচ্ছে। ওমকার টানা চারটি বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছিলেন। ২০০৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৪ বারই জয়ী হয়েছেন তিনি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হয় এবং তিনি তাঁর মন্ত্রিসভায় একজন মন্ত্রীও ছিলেন।
উল্লেখ্য, জবলপুরের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গডকড়ি। ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গডকড়ির কাজের প্রশংসা করেছেন। তিনি তাঁর কাজকে গঙ্গা নদীর স্থির প্রবাহের সঙ্গে তুলনা করেছেন। জবলপুরের ভেটেরিনারি কলেজে এদিন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানেই মধ্যপ্রদেশের জন্য ৯টি সড়ক প্রকল্পের উন্মোচন করা হয়।