পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়েছে। সেই সঙ্গেই বাড়ছে কৃষকদের ক্ষোভ। পেঁয়াজে ৪০ শতাংশ আমদানি শুল্ক বসানো হয়েছে। তার জেরে ক্ষোভ বাড়ছে। তবে এবার মুখ খুল মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী দাদা ভুষে। তিনি সাফ জানিয়েছেন, দু চারমাস পেঁয়াজ না খেলে বড় কিছু একেবারে হয়ে যাবে না। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, সকলের সঙ্গে সমণ্ব রেখেই এই আমদানি শুল্ক জারি করা হয়েছে। খবর এনডিটিভি সূত্রে।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, আমরা যখন ১০ লাখ টাকা দিয়ে গাড়ি কিনতে পারি তখন ১০টাকা-২০ টাকা দাম বাড়লে কিনতে পারব। আর যারা পেঁয়াজ কিনতে পারছেন না তবে তাঁরা যদি দু চার মাস পেঁয়াজ না খান তবে একেবারে বিরাট ফারাক হয়ে যাবে না।
এখানেই থামেননি তিনি। মন্ত্রী জানিয়েছেন, কখনও পেঁয়াজের দাম ২০০ টাকা প্রতি কুইন্টাল হয়ে যায়। আবার কখনও সেই পেঁয়াজের দামই ২০০০ টাকা প্রতি কুইন্টাল হয়। এনিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। একটা সমাধান ঠিক বের হবে।
তবে সামগ্রিক পরিস্থিতিতে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। এমনকী নাসিকে পেঁয়াজ নিলামে অংশ নিতে চাননি ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন জায়গায় ব্যবসায়ী ও কৃষকরা প্রতিবাদ কর্মূচিতে নেমেছেন।
তবে সূত্রের খবর, ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের জন্য সরকার ৩ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ মজুত করে রেখেছে। অতিরিক্ত ২ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আরও মজুত করার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
দেশের অন্যতম বড় পেঁয়াজের বাজার হল নাসিকে। সেই বাজার সোমবার বন্ধ ছিল। কারণ তাদের দাবি সরকার পেঁয়াজের উপর ৪০ শতাংশ আমদানি শুল্ক বসিয়েছে। এর জেরে কৃষকদের মধ্য়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। কারণ তাদের দাবি, এই ধরনের শুল্ক কেবলমাত্র ব্যবসায়ীদের সুবিধা করে দেবে। এতে কৃষকদের কোনও লাভ হবে না।
তবে বাসিন্দাদের স্বস্তি দিতে ন্যাশানাল কো অপারেটিভ কনজিউমার ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া একাধিক আউটলেট ও ভ্যানের মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রি করা শুরু করেছে। রাজধানী দিল্লির অন্তত ১০টি লোকেশনে এই পেঁয়াজ বিক্রি করা শুরু করেছে ন্যাশানাল কো অপারেটিভ কনজিউমার ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া।