মহারাষ্ট্রে অনলাইন গেমের বিরোধিতা বাড়ছে। এবার একটি অনলাইন গেমিং অ্যাপের বিজ্ঞাপন করে বিতর্কে জড়িয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকর। ওই গেমিং অ্যাপের বিজ্ঞাপন করার জন্য সচিন তেন্ডুলকরের সমালোচনা করেছেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান বিধায়ক বাচ্চু কাদু। এবার এনিয়ে সচিনকে আইনি নোটিশ পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিলেন এই নির্দল বিধায়ক।
আরও পড়ুন: সচিনের দুই প্রিয় বন্ধু কারা? ভিডিয়ো দিয়ে তাঁদের কথা জানালেন সুপারস্টার
কাদুর দাবি, এই ধরনের অ্যাপগুলি তরুণ সমাজের মধ্যে আসক্তি বাড়াচ্ছে। এরফলে তারা শুধু আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তাই নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পিছিয়ে যাচ্ছে। এর আগে সচিনকে এই ধরনের অ্যাপের বিজ্ঞাপনে প্রচার থেকে দূরে থাকার আবেদন জানিয়েছিলেন কাদু। তাঁর বক্তব্য, ‘ভারত রত্ন পাওয়া সচিনের ক্ষেত্রে এই ধরনের বিজ্ঞাপন করা একেবারেই উচিত নয়। বিজ্ঞাপন বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁকে আরও সতর্ক হওয়া উচিত। সচিন তেন্ডুলকর অসংখ্য ভক্ত রয়েছেন। অথচ তিনি পেটিএম ফাস্টের মতো জুয়া খেলার অ্যাপের বিজ্ঞাপন দিয়ে মোটেই ঠিক করছেন না। আমি সচিনকে অবিলম্বে বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।’
কাদু জানান, পেটিএম ফার্স্ট গেমের প্রচার প্রচারণা থেকে প্রত্যাহার করার জন্য তাঁর আবেদনের জবাব দেওয়ার জন্য তিনি সচিন তেন্ডুলকরকে সময় দিয়েছিলেন। তবে, এই বিষয়ে ক্রিকেটারের কাছ থেকে কোনও উত্তর না পাওয়ায় তাঁকে আইনি নোটিশ পাঠাতে বাধ্য হচ্ছেন। আজ আইনি নোটিশ পাঠানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে মহারাষ্ট্রে যাতে এই ধরনের বিজ্ঞাপনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা যায় সে বিষয়েও তিনি সরকারের কাছে আবেদন জানাবেন বলে জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, অনলাইন গেমিং অ্যাপের বিজ্ঞাপন করে একইভাবে বিতর্কে জড়িয়েছেন অভিনেতা শাহরুখ খান। অ্যান্টি-অনলাইন গেমিং অ্যাপস সংগঠনের সদস্যরা শাহরুখ খানের বাসভবন মান্নাতের বাইরে বিক্ষোভ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিক্ষোভকারীরা সেলিব্রিটিদের অনলাইন গেমিং অ্যাপের বিজ্ঞাপন না করার ওপর জোর দিয়েছে। তাদের বক্তব্য, এরফলে তরুণ প্রজন্ম ভুল পথে চালিত হবে।
উল্লেখ্য, জাঙ্গলি রামি এবং জুপির মতো অনলাইন গেমিং অ্যাপের বিরুদ্ধে তাদের এই বিক্ষোভ। তারা এই ধরনের বিজ্ঞাপনে বিখ্যাত অভিনেতা এবং অভিনেত্রীদের বিরত থাকার আবেদন জানিয়েছেন। তাদের বক্তব্য প্রখ্যাত অভিনেতা অভিনেত্রীদের অনেক ভক্ত থাকে। ফলে তাঁদের বিজ্ঞাপন দেখে তরুণ প্রজন্ম বিপদগামী হতে পারে । এতে সমাজের ক্ষতি হবে।