মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ লোকসভা ভোটে আসন ভাগাভাগির ফর্মুলা নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানিয়ে দিলেন। বিজেপি, শিবসেনা ও অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বে থাকা শিবসেনা এই আসন ভাগাভাগির বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে। প্রস্তাব অনুসারে জানা গিয়েছে, বিজেপি ২৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দিতা করবে, শিবসেনা ও এনসিপি আরও ২২টি আসনে প্রার্থী দেবে। মোটামুটি এই হিসাবে খেলতে নামবে লোকসভা নির্বাচনে।
এবার আগের লোকসভা ভোটের হিসেবটা জেনে নেওয়া যাক। ২০১৯সালে বিজেপি ২৫টি লোকসভা আসনে লড়েছিল। সেই সময় অবিভক্ত ছিল শিবসেনা। তারা লড়েছিল ২৩টি আসনে। বিজেপি সেই সময় ২৩টি আসনে জিতেছিল। সেই সময় শিবসেনা জিতেছিল ১৮ আসন। তবে এবার সমীকরণ কিছুটা বদলে যাচ্ছে। এবার বিজেপি শিবসেনার একটি শিবির ও এনসিপির অপর একটি শিবিরের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে লড়ার ব্যাপারে পরিকল্পনা নিচ্ছে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আমাদের বিষয়টি মোকাবিলা করতে হবে। দেরি হওয়ার আগে এটা করতে হবে। আমি, মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার এই সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করেছি। অন্য়দিকে জোট নিয়ে তিন দলের মধ্য়ে বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে সমস্য়া দেখা দিয়েছে এনিয়ে যে সমস্ত খবর বাজারে রটছে তা একেবারে ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ।
তিনি জানিয়ে দিয়েছেন বাস্তবিকই এই মহাজোট অত্যন্ত ভালো হয়েছে। এনিয়ে কোথাও কোনও গলদ নেই। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, আমি লোকসভা আসন থেকে লড়ছি না। আমি দলীয় প্রার্থীর প্রস্তাবক হিসাবে নাগপুর আসন থেকে থাকব।
ফড়নবীশ টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। মূলত মারাঠাদের সংরক্ষণ নিয়ে গত কয়েকমাসে ওই রাজ্যে আন্দোলন মাথাচাড়া দিয়েছে। তা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী।
তিনি জানিয়েছিলেন, গত কয়েকমাসে মহারাষ্ট্রে এনিয়ে নানা ক্ষোভ বিক্ষোভ হয়েছে। এতে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর প্রভাব ফেলেছে। তবে শুধু সেটাই নয়, এর মাধ্যমে বিনিয়োগ আসার ক্ষেত্রেও সমস্য়া দেখা দেবে।