পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার মহারাষ্ট্রের মাজগাঁও ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেডের এক কর্মী। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাস দমন স্কোয়াড (এটিএস) গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম কল্পেশ বাইকার (৩১)। জানা গিয়েছে, হানি ট্র্যাপের শিকার ওই কর্মী। পাকিস্তানের এক মহিলা গুপ্তচরের প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে একাধিক গোপন তথ্য পাকিস্তানে পাঠিয়েছেন ওই যুবক। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে যুবককে গ্রেফতার করেছে এটিএস।
আরও পড়ুনঃপাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি! ধৃত ২০০৬–এ ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়া ব্যক্তি
এটিএস সূত্রে জানা গিয়েছে, কল্পেশ বাইকার রায়গড় জেলার আলিবাগের বাসিন্দা। আলিবাগের একটি আইআইটি কলেজ থেকে ফিটার কোর্স সম্পন্ন করেছিলেন তিনি। এর পরে মাজগাঁও ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেডে কাজে যোগ দেন। প্রায় ১০ বছর ধরে সেখানে কাজ করছেন ওই কর্মী। ২০১৪ সালের মে মাসে তিনি মাজগাঁও ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেডে স্ট্রাকচারাল ফ্যাব্রিকেটর হিসাবে কাজে যোগ দেন।
উল্লেখ্য, ভারতের প্রধান জাহাজ নির্মাণ সংস্থাগুলির মধ্যে একটি হল মাজগাঁও ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেড। আগে এর নাম ছিল মাজগাঁও ডক লিমিটেড । এই সংস্থা ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য যুদ্ধ জাহাজ ও ডুবোজাহাজ এবং সমুদ্র থেকে খনিজ তেল উত্তোলনের জন্য অফশোর প্ল্যাটফর্ম ও সংশ্লিষ্ট সহায়তাকারী জাহাজগুলি তৈরি করে।
জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই মহিলার সঙ্গে কল্পেশের পরিচয় হয়। এরপরেই ওই পাক মহিলা গুপ্তচর কল্পেশকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতাতে থাকে। কয়েক মাস ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পাক মহিলার সঙ্গে চ্যাট করার তথ্য পেয়েছিল এটিএস। দু’জনের মধ্যে কথোপকথন এতদূর গড়িয়েছিল যে দেশের নিরাপত্তার জন্য সংবেদনশীল একটি জায়গায় কাজ করা কল্পেশ অর্থের বিনিময়ে ওই পাক গুপ্তচরকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করেছিলেন।
এটিএস সূত্রের দাবি, কল্পেশ অনেকদিন ধরেই ওই মহিলাকে তথ্য সরবরাহ করে আসছিলেন। সেক্ষেত্রে কতদিন ধরে পাকিস্তানি মহিলা গুপ্তচরের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন? এখনও পর্যন্ত মহিলা গুপ্তচরকে কী কী গুরুত্বপূর্ণ সংবেদনশীল তথ্য শেয়ার করেছেন? তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে এটিএস। এই ঘটনায় এটিএস অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে কল্পেশ বাইকার এবং তার পরিচিতি কয়েকজনের নামে মামলা দায়ের করেছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে এটিএস।