গাজার হাসপাতালে ভয়াবহ রকেট হানা। ৫০০ জনের মৃত্য়ুর খবর। এবার সেই ঘটনায় গোটা বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড়। তবে এই ঘটনার দায় কার তা নিয়ে বল ঠেলাঠেলি শুরু হয়ে গিয়েছে পুরোদমে। তবে তার মধ্য়েই এবার ভিডিয়ো বার্তায় মুখ খুললেন নোবেল পুরস্কার জয়ী মালালা ইউসোফজাই। তিনি জানিয়েছেন, 'গাজার আল আহলি হাসপাতালে বোম্বিং দেখে আমি স্তম্ভিত। আমি তীব্র নিন্দা করছি'।
'ইজরায়েল, প্যালেস্তাইন সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের যে মানুষরা শান্তির কথা বলছেন তাঁদের সঙ্গে গলা মেলাচ্ছি আমিও। সম্মিলিত শাস্তি কোনও উত্তর হতে পারে না। গাজার অর্ধেক মানুষ ১৮ বছরের নীচে। তাঁরা বাকি জীবনটা এভাবে বোম্বিংয়ের মধ্য়ে কাটাতে পারেন না।'
তাঁর আবেদন গাজায় যাতে মানবিক সহায়তা যেতে পারে তার সুযোগ করে দিন। ইজরায়েলের কাছে তিনি এই আবেদন করেছেন। সেই সঙ্গেই তিনি ২.৫ কোটি অর্থ সহায়তা করছেন বলে জানিয়েছেন। এটা তিনটি চ্য়ারিটি সংস্থাকে দেওয়া হবে। তারা প্যালেস্তাইনের মানুষদের সহায়তা করবেন।
সেই সঙ্গেই সরকারের কাছে তাঁর আবেদন অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করুন।
এদিকে গাজার হাসপাতালে কারা রকেট হানা করল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই দায় এড়িয়ে গিয়েছে ইজরায়েল। ইজরায়েলের দাবি, শত্রুর রকেট আমাদের দিকে তাক করা হয়েছিল। সেটাই লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে হাসপাতালে গিয়ে পড়ে। ইসলামিক জেহাদ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে। তবে ইসলামিক জেহাদ গোষ্ঠী গোটা বিষয়টি মানতে চায়নি। তাদের দাবি, গাজাতে তাদের কোনও কার্যক্রম এই সময়ে নেই।
সেক্ষেত্রে এবার প্রশ্ন তবে এত মানুষের মৃত্যুর দায় কার?
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন তাঁর বিবৃতিতে আগেই জানিয়েছিলেন, আল আহলি আরব হাসাপাতালে বিস্ফোরণের ঘটনায় আমি প্রচন্ড বিরক্ত ও কষ্ট পেয়েছি। যেভাবে প্রাণহানি হয়েছে তা আমি দুঃখিত। এই খবর শোনার পরেই আমি জর্ডনের রাজা আবদুল্লাহ ২, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেছি। ঠিক কী হয়েছে সেব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের জন্য আমি ন্য়াশানাল সিকিউরিটি টিমকে নির্দেশ দিয়েছি।
তবে এবার হাসপাতালে রকেট হানা নিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই।