মালদায় বন্যাত্রাণের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগের জল এবার ক্যাগ পর্যন্ত গড়াল। এবার ক্যাগকে সেই বন্যাত্রাণের ৫৮ কোটি টাকা নয়ছয়ের তদন্তভার দেওয়া হল। কলকাতা হাইকোর্টে এনিয়ে মামলা হয়েছিল। এবার কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ ওই টাকা কোথায় গেল, কোন খাতে খরচ হল, তা তদন্ত করে দেখবে ক্যাগ। এর সঙ্গে হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এনিয়ে ৮ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
বন্য়াত্রাণের টাকার দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন হরিশচন্দ্রপুরের প্রাক্তন বিধায়ক মোস্তাক আলম। রাজ্য সরকার মালদার ২০১৭ সালের বন্যার জন্য ৫৮ কোটি টাকা রাজ্য সরকার বরাদ্দ করেছিল। কিন্তু সেই টাকা শেষ পর্যন্ত প্রকৃত দুর্গতদের হাতে পৌঁছায়নি। সেই টাকা মাঝপথে কোথায় গেল তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এদিকে শাসকদলের একাংশের মদতে দুর্গতদের টাকায় ভাগ বসানো হয় বলে অভিযোগ। এমনকী সেই তালিকা নিয়েও বিস্তর গরমিলের অভিযোগ ওঠে। এরপরই গোটা বাংলা জুড়ে এনিয়ে হইচই পড়ে যায়।
এই বন্যাত্রাণের টাকা নিয়ে ব্যপক স্বজন পোষণ হয়েছিল বলে অভিযোগ। জনপ্রতিনিধিদের একাংশ ওই অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ। এমনকী যাচাই না করেই বিপুল টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে কীভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। প্রশাসনের একাংশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। এই ঘটনার প্রকৃত তদন্তের দাবিতে বার বারই সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষ। এরপর একাধিক নির্বাচন পেরিয়ে গিয়েছে। বার বারই নানা কথা উঠেছে। কিন্তু শাসকদল নানা অজুহাত দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। তবে এতদিন পরে অবশেষে ক্যাগ কে দিয়ে তদন্ত করার নির্দেশ। সেক্ষেত্রে প্রকৃত অনিয়ম সামনে আসে কি না সেটাই এখন দেখার। দীর্ঘদিনের পুরানো অভিযোগ. তথ্য প্রমাণ আদৌ লোপাট করে দেওয়া হয়েছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
এবার তদন্ত কোন দিকে যায়, শাসকদলের কোন রাঘব বোয়ালের নাম সামনে আসে সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে সেই বঞ্চিত, দুর্গত সাধারণ মানুষ।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup