গত তিন বছরে ৬৫৮২ জন উপজাতি পরিবারের শিশুর মৃত্যু হয়েছে শুধু মহারাষ্ট্রেই। সদ্য ইন্টিগ্রেটেড চাইল্ড ডেভোলপমেন্ট স্কিমের পরিসংখ্যানে এই তথ্য উঠে এসেছে। বাড়ি বাড়ি ঘুরে এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, এই সংখ্য়ক শিশুর মৃত্যুর কারণ অপুষ্টি। যে সমস্ত উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় অপুষ্টির কারণে শিশুদের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে নানদরবার সবচেয়ে আগে। সেখানে ১২৭০ জন উপজাতি এলাকার শিশুর মৃত্যু হয়েছে অপুষ্টির কারণে।
বিভিন্ন জায়গায় সমীক্ষা চালাতে গিয়ে মহারাষ্ট্র জুড়ে উপজাতি পরিবারের অপুষ্টিজনিত শিশুদের ক্ষেত্রে একটা ভয়াবহ পরিসংখ্যান উঠে আসতে আরম্ভ করেছে। সেখানে জানা গিয়েছে, ২৬,০৫৯ জন শিশু এখনও ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছে। অন্যদিকে, ১,১০,৬৭৪ জন শিশুর শরীরে অল্পভাবে বাসা বেঁধেছে অপুষ্টিজনিত সমস্যা। উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রজুড়ে এভাবে অপুষ্টিজনিত সমস্যায় শিশুমৃত্যু ঘিরে বম্বে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। তার প্রেক্ষিতেই আদালতে এই রিপোর্ট পেশ হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গত ১৪ মার্চ এই সমীক্ষা শুরু হয়। আদালতের নির্দেশেই এই সমীক্ষা শুরু হয়। আদালতের নির্দেশে উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় বাল্যবিবাহের তথ্যের খোঁজ নিতে একটি কমিটি গড়া হয়। সেখানে দেখা যায়, ১৮ বছরের আগে, ১৫ হাজারের বেশি বালিকার বিয়ে হয়ে গিয়েছে গত ৩ বছরে। উল্লেখ্য, অপুষ্টিজনিত সমস্যায় শিশুমৃত্যু ঘিরে বাল্যবিবাহের তথ্যের কি সম্পর্ক রয়েছে, তা নিয়ে স্বভাবতই কৌতূহল জাগতে পারে। প্রসঙ্গত, খতিয়ে দেখা হচ্ছে যে, যদি অপরিণত বয়সে কতজন মহিলা সন্তানধারণ করেছেন তার পরিসংখ্যান। কারণ অপরিণত বয়সে সন্তান ধারণের সঙ্গে সন্তানের অপুষ্টির সম্পর্ক থেকে যায়। আর এই দুই সমস্যার সমীক্ষা ঘিরে কার্যত ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে সাম্প্রতিক সমীক্ষায়।