কাশী বিশ্বনাথ ধামকে আলাদা রূপে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে পৃথক করিডোর স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। নিজের সংসদীয় কেন্দ্রে গিয়ে সেই করিডোর উদ্বোধন করেছেন মোদী স্বয়ং। গঙ্গা থেকে বিশ্বনাথ মন্দির পর্যন্ত তৈরি প্রসস্ত এই করিডোর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার আগে নদীতে ডুব দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আর মোদীর এই গঙ্গাস্নান নিয়েই কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোয়ায় দলীয় জনসভা থেকে মমতার চণ্ডীপাঠে খোঁচা খেলেন মোদী। মমতার কথায়, ‘ভোট এলে গঙ্গাস্নান, এমনি সময় ভাসান লাশ।’ পাশাপাশি এদিন গোয়াতেও দাঁড়িয়ে চণ্ডীপাঠ করতে দেখা গেল মমতাকে।
মমতা এদিন গোয়াতে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে বিজেপি কতটা ‘ভয়ঙ্কর’। উল্লেখ্য, একসময় গোয়া ফরওযার্ড পার্টি এবং মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির সঙ্গে মিলেই গোয়ায় কংগ্রেস বিরোধী সরকার গড়েছিল বিজেপি। পরে বিধায়ক ভাঙিয়ে এই দলগুলিরই শক্তিক্ষয় করায় বিজেপি। এই আবহে গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি হাত মিলিয়েছে কংগ্রেসের সঙ্গে, আর তৃণমূলের সঙ্গে জোট গড়েছে মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি। এই নিয়ে মমতার বক্তব্য, ‘এক দিন যাঁরা বিজেপিকে ক্ষমতায় এনেছিলেন, তাঁরা বুঝেছেন ওই দল কী ভয়ঙ্কর।’প্রসঙ্গত, নিজেও একসময জাতীয় রাজনীতে প্রাসঙ্গিক হতে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন মমতা নিজে।
এদিকে গোয়ায় তৃণমূলের বিস্তার প্রসঙ্গে কংগ্রেসের অভিযোগ, মমতা আদতে বিরোধী ভোট ভাগ করে দিয়ে বিজেপিকে সুযোগ করে দিতেই গোয়ায় এসেছে। এই বিষয়ে নেত্রীর সাফ বার্তা, ‘গোয়ার মানুষই গোয়া শাসন করবেন। আমরা ভোট ভাগ করতে আসিনি। বিজেপি-কে হারাতে চাইলে ভোট নষ্ট করবেন না।’ এদিকে এদিন বিজেপিকে বিঁধে মমতার অভিযোগ, গঙ্গাকে নাকি অপবিত্র করেছে বিজেপি। মোদীর গঙ্গাস্নান নিযে কটাক্ষের সুরে মমতা বলেন, ‘ভোট এলেই গঙ্গাস্নান। আর ভোট শেষ হলেই নদী দিয়ে ভেসে যায় মৃতদেহ।’ কোভিডকালে উত্তরপ্রদেশের নদীতে মৃতদেহ ভাসার স্মৃতি উস্কে দেওয়ার পাশাপাশি লখিমপুর খেরির ঘটনা নিয়েও তোপ দাগেন মমতা। প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে অভিযুক্তের বাবা এখনও মন্ত্রিসভার সদস্য!