আবর্জনা পরিষ্কার করতে গিয়ে গোলাপি রঙের প্যাকেটে একটি ধাতব জিনিস কুড়িয়ে পেয়েছিলেন এক সাফাইকর্মী। প্রথমে সেটি কী বুঝতে না পারলেও পরে জানতে পারেন ধাতব পদার্থটি আসলে একটি সোনার কয়েন। এত দামি একটি জিনিস হাতে পেলেও নিজের কর্তব্য থেকে সরে আসেননি ওই সাফাই কর্মী। কয়েনটিকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেন। পরে সেটি যথাস্থানে পৌঁছে দেয় পুলিশ।
চেন্নাইয়ে মেরি নামে এক সাফাইকর্মী রাস্তার ধারে জঞ্জাল পরিষ্কার করতে গিয়ে হঠাৎই একটি ধাতব পদার্থ পড়ার আওয়াজ পান। ধাতবটি প্যাকেটে মোড়ানো ছিল বলে প্রথমে তিনি বুঝতে পারেনি। এরপর প্যাকেট খুলে দেখতে পান, ধাতবটি একটি সোনার কয়েন। সোনার জিনিস পেয়ে প্রথমে কিছুটা ঘাবড়ে গেলেও পরে নিজেকে সামলে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নিজের কর্তব্যে অবিচল ছিলেন তিনি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হাতে সোনার জিনিসটিকে তুলে দেন মেরি।
এদিকে নিজের হারিয়ে যাওয়া জিনিসটিকে ফিরে পেতে পুলিশের দ্বারস্থ হন গণেশ রামন নামে এক ব্যক্তি। তিনি জানতে পারেন, তাঁর স্ত্রী প্যাকেটে মোড়ানো জিনিসটিকে না বুঝেই আবর্জনায় ফেলে দিয়েছেন। এই কথা পুলিশকে জানাতেই গণেশ বাড়ির কাছে যে সব আবর্জনা ফেলার জায়গা রয়েছে, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পারে, মেরf আবর্জনা পরিষ্কার করছিলেন। স্থানীযঊর্ধ্বতন সনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে মেরি সোনার কয়েনটি তাঁদের জমা দিয়েছেন। জানা যায়, যে সোনার কয়েনটি খোয়া গিয়েছিল তার ওজন ১০০ গ্রাম, যার বাজার মূল্য সাড়ে ৭ লাখ টাকা। কয়েনটি পেয়ে পুলিশ গণেশকে থানায় ডেকে পাঠায় ও তাঁর হাতে সেটি তুলে দেয়।