রেলের দরজায় দাঁড়িয়ে অপর চলন্ত ট্রেনের যাত্রীদের বেল্ট দিয়ে মার, হাড়হিম Video

মূলত অপর চলন্ত ট্রেনের গেটে যারা দাঁড়িয়েছিলেন তাদের গায়েই আঘাত লাগে। অনেকের আঘাত বেশ গুরুতর বলে খবর। এদিকে সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে যায়।

চলন্ত ট্রেনের দরজায় দাঁড়িয়ে বেল্ট দিয়ে মার। টুইটার। 

এলএন রাও

টুইটারে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, এক যুবক চলন্ত ট্রেনের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে। তার হাতে একটি বেল্ট রয়েছে। চলন্ত ট্রেনের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে সে বেল্ট দিয়ে অপর একটি চলন্ত ট্রেনের যাত্রীদের দিয়ে মারছে। ২৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো। শিউরে ওঠা ছবি। একেবারে নারকীয় ঘটনা। হাড়হিম করা ঘটনা।

সেই লোকটা একটা চলন্ত ট্রেনের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। মুখে হিংস্র হাসি। এরপর সে অন্য চলন্ত ট্রেনের যাত্রীদের উপর সেই বেল্ট চালাচ্ছে। শপাং শপাং করে সেই বেল্ট দিয়ে অন্য চলন্ত ট্রেনের যাত্রীদের তিনি মারছেন। সেই ট্রেনটি বিপরীত দিকে যাচ্ছে। এদিকে সেই ট্রেনের বকলেশটা গিয়ে আঘাত দিচ্ছে অন্য ট্রেনের যাত্রীদের উপর। এদিকে সেই ঘটনার জেরে একাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন।সম্ভবত তাদের আঘাত গুরুতর। এদিকে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে দুটি ট্রেনই ছুঁড়ছিল। তবে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি।

এদিকে মূলত অপর চলন্ত ট্রেনের গেটে যারা দাঁড়িয়েছিলেন তাদের গায়েই আঘাত লাগে। অনেকের আঘাত বেশ গুরুতর বলে খবর। এদিকে সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে যায়। এক নেট নাগরিক লিখেছেন, চলন্ত ট্রেনের দরজায় যারা ছিলেন তাদের গায়ে বেল্টের আঘাত লেগেছে। এদিকে এভাবে তাদের গায়ে আঘাত লাগায় তারা চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যেতে পারতেন। বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত।

 

তবে ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে ওই ব্যক্তি একটি সাদা রঙের গেঞ্জি পরেছিল। কেন সে এমন নারকীয় ঘটনা ঘটাচ্ছিল সেটা জানা যায়নি। তবে ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই রেল জানিয়ে দেয়, এটা জানিয়ে ভালো করলেন। আমরা এনিয়ে তদন্ত শুরু করেছি।

পূর্ব মধ্য রেলওয়ে জানিয়েছে, জানানোর জন্য ধন্যবাদ। পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

অপর একজন লিখেছেন, এই অসামাজিক জঙ্গি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। তবে ওই ভিডিয়োতে আরও একজনের হাত দেখা গিয়েছে। সম্ভবত দু তিনজন এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। তারা রীতিমতো মজা করছিল এই ঘটনাকে ঘিরে। তবে এই ঘটনা কতটা ভয়াবহ হতে পারত সেটা ভাবতেই শিউরে উঠছেন অনেকে।

তবে ওই ব্যক্তিদের কঠোরতম শাস্তি চাইছেন অনেকেই। এমন শাস্তি যাতে আর কেউ কোনওদিন এমন ঘটনা ঘটাতে না পারে।