সপ্তর্ষি দাস
মণিপুরের সংকট এখনও মেটেনি পুরোপুরি। তবে তার মধ্য়েই এবার বিরোধী দলগুলি একযোগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। সব মিলিয়ে ১০টি দলের প্রতিনিধিরা রয়েছেন সেই তালিকায়। তার মধ্য়ে আম আদমি পার্টি, তৃণমূল, জাতীয় কংগ্রেস, সিপিএম, শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরের গোষ্ঠীও রয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী এদিন আমেরিকা সফরে রওনা হয়েছেন।
বিরোধীদের দাবি, মণিপুরে একটি পৃথক প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার দাবি তোলা হচ্ছে। তবে বিরোধী ওই রাজনৈতিক দলগুলির তরফে এই দাবির বিরোধিতা করা হয়েছে। অন্যদিকে মণিপুরে গুলি চালনার ঘটনা যাতে বন্ধ হয় তার আবেদনও জানানো হয়েছে।
ওই স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মণিপুরে হিংসার ঘটনা অবিলম্বে কমাতে হবে। কুকি জঙ্গিদের কার্যকলাপ বন্ধ করতে হবে। অন্যদিকে মণিপুরের দুর্গত মানুষদের জন্য ১০১.৭৫ কোটি টাকার রিলিফ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছিল। এব্যাপারে বিরোধীরা জানিয়েছেন, এই অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে।
ইম্ফল থেকে ডিমাপুর পর্যন্ত জাতীয় সড়ক ২ খোলার ব্যাপারেও দাবি করা হয়েছে। তাদের দাবি, সেই ৩ মে থেকে কুকি সম্প্রদায়ের লোকজন হাইওয়ে আটকে রেখে দিয়েছে। এর জেরে গাড়ি যেতে পারছে না। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। এর জেরে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। এনিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপের দাবি তুলেছেন তারা।
অন্যদিকে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন কংগ্রেস নেতা ওকরাম ইবোবি সিং। তিনি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর এনিয়ে বৈঠক করা দরকার।
তিনি জানিয়েছেন, মণিপুরের বিষয়টি একটি জাতীয় ইস্যু করা দরকার। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং প্রকাশ্যেই স্বীকার করেছেন, আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি ভেঙে পড়ার জেরেই এই ঘটনা হয়েছে। এখন কেন্দ্রীয় সরকারের এনিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। যদি সরকারের সদিচ্ছা থাকে তবে এই ধরনের পরিস্থিতি ৩-৪ দিনে, সবথেকে বেশি হলে এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্য়া মেটানো যেতেই পারত।
রিপাবলিকান পার্টি অফ ইন্ডিয়া( এ) নেতা নিমাই চান্দ লুওয়াং জানিয়েছেন, মণিপুরের মানুষ বীরেন শাহের মুখ দেখতে চান না। তিনি সবকিছুর জন্য দায়ী। তাঁর এবার যাওয়া দরকার। তিনি গেলে ১ ঘণ্টার মধ্যে এই হিংসা কমে যাবে।
এদিকে সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবারই জানিয়ে দিয়েছে মণিপুরের পরিস্থিতি পুরোটাই আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির ঘটনা। এবার কীভাবে কত তাড়াতাড়ি শান্ত হবে মণিপুর সেটাই এখন দেখার।