স্ত্রী গর্ভবতী। আর সেই স্ত্রীকে দেখতে এসেছিলেন এক সেনা জওয়ান। গ্রামেই ছুটিতে এসেছিলেন তিনি। ছত্তিশগড়ের কানকের জেলাতে ওই সেনা জওয়ানকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ মাওবাদীদের বিরুদ্ধে উঠেছে।
তবে এবারই প্রথম মাওবাদী হানায় কোনও সেনা জওয়ানের মৃত্যু হল। এদিকে এক সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে অন্তত সাতজন সুরক্ষা কর্মীর মৃত্য়ু হল মাও হানায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যায় ওই সেনা জওয়ান স্থানীয় বাজারে বাজার করছিলেন। সেই সময় মাওবাদীর অ্যাকশন স্কোয়াড তাকে খুব সামনে থেকে গুলি করে। গ্রামবাসীর ছদ্মবেশেই তারা ছিল।এমনকী ওই জওয়ানের ভাইয়ের সামনেই লুটিয়ে পড়েন তিনি।
উত্তর পূর্বে পোস্টিং ছিলেন ওই জওয়ান। তার বয়স ২৯ বছর । রায়পুর থেকে ১৮০ কিমি দূরের নিজের গ্রামের বাজারে বাজার করছিলেন সেনা জওয়ান।তখনই মাওবাদী হানা। তবে বস্তারের এই খুনের ঘটনার জেরে এলাকায় শোরগোল পড়েছে।
ব্রিগেডিয়ার বিকে পুনওয়ার ( অবসরপ্রাপ্ত) সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, মাওবাদীরা অনেক সময় সফট টার্গেট করে।সম্ভবত আর্মির ওই জওয়ানকে সিআরপিএফ বলে ভুল করেছিল মাওবাদীরা।অথবা অন্য় কোনও ফোর্সে বলে তারা ভেবেছিল। কারণ সাধারণত মাওবাদীরা সেনাদের টার্গেট করে না। তবে কিছুক্ষেত্রে যুদ্ধের নিয়মে বদল ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন দুজন মাওবাদী গেরিলা গুলি চালিয়েছিল। এরপর তারা লাল সেলাম স্লোগান দেয়। তারপর পালিয়ে যায়।
এদিকে এই এলাকাটি মাওবাদী অধ্যুষিত বলেই পরিচিত। আবার এখানকার একাধিক যুবক ফোর্সেও চাকরি করেন। সেক্ষেত্রে তাদের উপর এর আগে বিশেষ মাওবাদী হানা হয় না। মাঝেমধ্যেই তারা বাড়িতে ঘুরতে আসেন। কিন্তু এই ধরনের ঘটনা এর আগে হয়নি।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, সেনার পরিবার অত্যন্ত সাধারণ জীবন যাপন করেন। চাষ আবাদও রয়েছে বাড়িতে। বন থেকে কাঠকুটো সংগ্রহ করে পরিবার। সেই বাড়ির সদস্যের উপরই এই হামলা।
এদিকে এসপি শালাভ সিনহা জানিয়েছে, নক্সালের বিরুদ্ধে সেনা জওয়ানদের কোনওদিন লড়াই হয়নি। সেনা জওয়ানরা দেশের সুরক্ষায় নিয়োজিত। সেই সেনা এসেছিলেন ছুটিতে। আর তাঁকেই এভাবে খুন করা হল। মাওবাদীরা দাবি করে আদিবাসী মঙ্গল চায় তারা। কিন্তু এই ঘটনা তো সেটা প্রমাণ করে না।