হামাসকে ভারতে জঙ্গি দল হিসাবে ঘোষণার পক্ষে কোনও সই করেননি বিদেশ দফতরের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি। সোস্য়াল মিডিয়ায় উল্লেখ করা পোস্টকে উড়িয়ে দিয়ে দাবি করেছেন তিনি।
এদিকে এক সাংবাদিকের পোস্ট করা নথিতে দেখা গিয়েছিল, কংগ্রেস এমপি কে সুধাকরণ প্রশ্ন করেছিলেন, হামাসকে জঙ্গি গোষ্ঠী হিসাবে ঘোষণা করে হবে কি না সেটা নিয়ে ভারত সরকারের কোনও প্ল্যান রয়েছে কি না সেটা জানতে চেয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ।
আর তার উত্তরে লেখি জানিয়েছিলেন, UAPA অ্য়াক্ট অনুসারে কোনও সংগঠনকে জঙ্গি গোষ্ঠী হিসাবে উল্লেখ করা হয়। সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভাগ যদি কোনও গোষ্ঠীকে জঙ্গি গোষ্ঠী হিসাবে মনে করার পক্ষে প্রয়োজনীয় নথি জোগাড় করতে পারে তবে এটা হয়। একজন সাংবাদিক এই নথিটা এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন। লোকসভা ওয়েবসাইটে উল্লিখিত প্রশ্নোত্তরের কপি পোস্ট করা হয়েছিল।
তবে সোশ্যাল মিডিয়ার এই পোস্ট নিয়ে মীনাক্ষী পালটা জানিয়েছেন, এই ধরনের প্রশ্ন উত্তর নিয়ে আমি কোনও স্বাক্ষর করিনি। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, তদন্ত করলেই আসল ব্যাপারটা জানা যাবে, কে অপরাধী সেটা জানা যাবে।
এদিকে এসবের মধ্যে শিবসেনা( ইউবিটি) এমপি প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী গোটা বিষয়টি নিয়ে বিদেশ দফতরের কাছে ব্যাখা চেয়েছেন। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, এই নীচের টুইটে মীনাক্ষী লেখি জানিয়েছেন, এই প্রশ্নোত্তরের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি এখানে স্বাক্ষর করেননি। তাহলে এটা তো ভুয়ো ডকুমেন্টস। বাস্তবে যদি এটা হয়ে থাকে তবে সেটা তো গুরুতর ব্যাপার।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে তিনি যেটা বলেননি বলে দাবি করছেন সেটা কীভাবে ওয়েবসাইটে উঠল। এদিকে ভারতের সঙ্গে আগে থেকেই ইজরায়েলের সম্পর্ক রয়েছে। হামাস গত ৭ অক্টোবর যে হামলা চালিয়েছিল তা নিয়ে তীব্র নিন্দা করেছিল ভারত। তবে এবার মীনাক্ষী নিজেই জানিয়ে দিলেন হামাসকে ভারতের জঙ্গি গোষ্ঠী হিসাবে ঘোষণা করার ক্ষেত্রে তিনি কোনও স্বাক্ষর করেননি। তাহলে সাংবাদিক যে পোস্টটি করেছেন, যে নথি উল্লেখ করেছেন সেটা কী? এনিয়ে নয়া বিতর্ক দানা বাঁধল এবার।
এদিকে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানিয়েছেন, একটা প্রযুক্তিগত সংশোধন দরকার। তিনি জানিয়েছেন, লোকসভার ৯৮০ নম্বর উত্তরে গত ৮ ডিসেম্বর যেটা বলা হয়েছিল সেটা সংশোধন( টেকনিকাল কারেকশন) করতে হবে। তবে কীভাবে এই ভুলটা হয়েছিল তা নিয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি।