কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন মোট ৬টি ‘কোর অফ কোর স্কিম’–এর জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছেন। ২০২৩–২৪ অর্থবর্ষে ১.০৮ লক্ষ কোটি টাকা এই প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল। এবার সেটা বেড়ে ২০২৪–২৫ অর্থবর্ষের জন্য ১.১২ লক্ষ কোটি টাকা করা হয়েছে। যা হিসাব করলে দেখা যাচ্ছে ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজেট বরাদ্দের (২০২৩–২৪) সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, আগামী অর্থবর্ষে এই কর্মসূচিগুলির জন্য বরাদ্দ ৩০ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু তাতে আখেরে সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষের কতটা উপকার হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
এদিকে গ্রামের প্রান্তিক মানুষজন যাঁরা ১০০ দিনের কাজ করে রোজগার করেন তাঁদের কাছে বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। কারণ এই প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি প্রকল্প (মনরেগা), জাতীয় সামাজিক সহায়তা প্রকল্প, সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের জন্য কর্মসূচি, অন্যান্য দুর্বল গোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য কর্মসূচি, তফসিলি উপজাতিদের উন্নয়নের জন্য কর্মসূচি, তফসিলি জাতি উন্নয়নের জন্য প্রকল্প। এই বিষয়গুলি সাধারণত একটি সেক্টরে একাধিক প্রকল্পকে একছাতার তলায় নিয়ে আসে। যদিও বাংলায় ১০০ দিনের কাজ বন্ধ রয়েছে। আবার কাজ করে টাকা মেলেনি। বিপুল পরিমাণ বকেয়া রয়েছে।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ষষ্ঠ বাজেটে, ২০২৩–২৪ সালের জন্য মেক–ওয়ার্ক মনরেগা প্রকল্পের জন্য ৮৬০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। যা আগের বাজেটের ৬০,০০০ টাকার (২০২৩–২৪) থেকে ৪৩ শতাংশ বেশি। ২০২৩–২৪ সালের এই প্রকল্পের সংশোধিত বরাদ্দ টাকা আগামী অর্থবর্ষের জন্য ব্যয়ের সমান। তবে বাংলা একশো দিনের টাকা পাচ্ছে না বলে আজ, শুক্রবার রেড রোডে ধরনায় বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ধরনার পর তাঁর নয়াদিল্লি সফর রয়েছে। সুতরাং একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকার জন্য তিনি লাগাতার আন্দোলন করে চলেছেন। গরিব মানুষের টাকা পাইয়ে দিতে।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য সুখবর, বাসের ভাড়া ফ্রি ঘোষণা করল মালিক সংগঠন!
এছাড়া সুসংহত স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কর্মসূচি প্রকল্প–সহ ‘কোর’ হিসাবে মনোনীত অন্যান্য সমস্ত সিএসএসের জন্য, অন্তর্বর্তী বাজেটে ২০২৪–২৫ সালের জন্য মোট ৩.৮ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। অপুষ্টি মোকাবিলায় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের সক্ষম অঙ্গনওয়াড়ি এবং পোষণ ২.০ প্রকল্পতে ৩ শতাংশ (২১,২০০ কোটি টাকা) বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। এই কর্মসূচিগুলির লক্ষ্য শিশু, কিশোরী, গর্ভবতী এবং মহিলাদের দুর্বল স্বাস্থ্য মোকাবেলা করা। এই প্রকল্পের বরাদ্দ বৃদ্ধি নিয়ে নির্মলা সীতারামন বলেছেন, ‘মাতৃ ও শিশু যত্নের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পকে বাস্তবায়ন করতে সমন্বয়ের জন্য বড় কর্মসূচির আওতায় আনা হবে। উন্নত পুষ্টি প্রদান, শৈশবকালীন যত্ন এবং উন্নয়নের জন্য সক্ষম অঙ্গনওয়াড়ি এবং পোষণ ২.০ প্রকল্পের অধীনে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির উন্নয়ন দ্রুত করা হবে।’