লাদাখে চিনা আগ্রাসন পরবর্তী সময়ে ভারতের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক বেশ খানিকটা তলানিতে ঠেকে। এদিকে, এরপর বিশ্ব কূটনীতিতে নানা প্রবাহ দেখা গিয়েছে। একাধিক বৈঠকে একসঙ্গে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তবে কথাবার্তা যৎসমান্য হতেই দেখা গিয়েছে। একই ছবি দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৫ তম ব্রিকস সামিট-এ দেখা গেল। যেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে চিনা প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের অল্প কিছুক্ষণের কথাবার্তা হতে দেখা যায়। এই সাক্ষাৎ দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে কতটা কূটনৈতিক প্রভাব ফেলবে, তার উত্তর তোলা রয়েছে সময়ের হাতে।
এর আগে, ইন্দোনেশিয়ার বালিতে আয়োজিত জি ২০ সামিট-এ ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও চিনের প্রেসিডেন্টকে সামান্য কিছুক্ষণের জন্য মুখোমুখি হতে দেখা যায়। তবে সেবারও তা জনসমক্ষের আলোচনা। রুদ্ধদ্বার কোনও বৈঠকে তাঁদের দু'জনকে সেবারও দেখা যায়নি। আর এবারও জনসমক্ষেই মোদী ও জিনপিংকে আলোচনা করতে করতে মঞ্চে প্রবেশ করতে দেখা গেল।
এদিকে, ১৫ তম ব্রিকস সামিট-এর আগে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এক তাবড় বিবৃতি আসে। সেখানে বলা হয়েছে, একাধিক রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে পারেন। উল্লেখ্য, জল্পনা তৈরি হয়েছিল, হয়ত চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও এ যাত্রায় দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হতে পারে। ফলে দিল্লি যে আগে থেকেই প্রস্তূত ছিল, তা বলাই বাহুল্য।
উল্লেখ্য, ব্রিকস গোষ্ঠীভূক্ত দেশগুলির মধ্যে রয়েছে চিন ও রাশিয়ার মতো দেশ। যারা মার্কিন বিরোধী শক্তি হিসাবে পরিচিত। এদিকে, সেই সমস্ত দেশগুলি যাতে তাদের পছন্দের দেশকেই শুধু ব্রিকস-এ আমন্ত্রণ করে ব্রিকসকে নিজেদের মুখপাত্র হিসাবে তৈরি করতে না পারে, তার জন্য সচেষ্ট দিল্লি। এদিকে, মিশর, ইথিওপিয়া, ইউএই, ইরান, সৌদি আরব, আর্জেন্টিনাকে ব্রিকসে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে ব্রিকস গোষ্ঠীভূক্ত দেশগুলি। সেই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে বার্তা দিয়েছে ভারত। এদিকে, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ভারত বিশ্বাস করে,নতুন সদস্যের যোগদান ব্রিকস-কে শক্তিশালী করবে’। এই কূটনৈতিক নানান গতিবিধির মধ্যে মোদী ও জিনপিংয়ের বৈঠক নিয়ে বেশ খানিকটা আলোচনা শুরু হয়েছে।